অরূপ বসাক, মালবাজার: যেকোনও সময়ে এলাকা পরিদর্শনে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তাই তার আগে আঁটসাঁট নিরাপত্তার মালবাজারে। মঙ্গলবার সকালে একাধিক বাজারে টহল দেয় পুলিশ। লকডাউন ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং বাজার বন্ধ করেও দেওয়া হয়। মাস্ক ছাড়া যাঁরা বাজারে আসবেন, তাঁদের খাদ্যসামগ্রী না দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন বাজার বসেছিল। খুলেছিল দোকানপাটও। বেশ কয়েক জায়গাতেই ধরা পড়ে লকডাউনের বিধিভঙ্গের ছবি। বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল বাজারে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এলাকায় পা রাখার আগে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। চলে বিভিন্ন বাজারে পুলিশের টহলদারিও। মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন বাজারে মালবাজার পুলিশের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চলে টহলদারি। লকডাউন ভঙ্গ হওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকটি দোকানপাটও বন্ধ করে পুলিশ। সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখেন পুলিশ আধিকারিকরা। যাঁরা বাজারে মুখে মাস্ক না পরে এসেছেন তাঁদের ধমকও দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এসডিপিও।
মাস্ক ছাড়া যাঁরা বাজার করতে আসবেন, তাঁদের জিনিস না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁরা বলেন, “অত্যাবশ্যক জিনিসের দোকান ছাড়া অন্য দোকান খোলা থাকলে, সেই সব দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বাজারে যেহেতু অযথা মানুষ ভিড় করছেন এবং বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকছে তা বন্ধ করার জন্য দোকানদার এবং সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে।”
সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে টুইটে ‘গুরুতর’ বলে রাজ্যের সাতটি জেলার নামও উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতেও সাতটি জেলাকে ‘গুরুতর’ বলে জানানো হয়। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সাত ভাগে ভাগ হয়ে সাতটি জেলায় যাওয়ার কথা ওই প্রতিনিধিদের। প্রয়োজন হলে তাঁরাই স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেবে। ঘুরে দেখার পর এলাকা সম্পর্কিত পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট নয়াদিল্লিতে পাঠাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.