দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কলকাতার পর এবার আইপিএল নিয়ে বেটিং (IPL Betting) চক্রের হদিশ মিলল হুগলিতে (Hooghly)। কোন্নগরের ধর্মডাঙা এলাকার একটি বাড়ি থেকে বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও ১২ টি মোবাইল ফোন। এদিন তাদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোন্নগরের ধর্মডাঙার ওউ বাড়ি থেকে ধৃতদের নাম অমিত গুপ্ত, আনন্দ কাশ্যপ, সৌরভ সিংহরায়, মনোরঞ্জন সিং, মোহিত শর্মা, রাজু যাদব, শুভজিৎ দে। এদের প্রত্যেকর বয়স ২৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সকলেরই বাড়ি উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর ও কোন্নগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, আইপিএল শুরু হওয়ার আগে থেকেই ধৃতরা পরিকল্পনা করে শুভজিতের বাড়িতে এই বেটিং চক্র বসায়। তবে এদের পিছনে কোনও বড় মাথা কাজ করছে বলে পুলিশের দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, আইপিএলের বেটিং চক্রের বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। মোবাইলে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে এরা চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। সবটাই হয় অনলাইনের মাধ্যমে। কোন্নগরের ধর্মডাঙার বাড়িতে বসে এরা বুকির কাজ করত। সোমবার রাতে আরসিবি ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে রীতিমতো জাল বিছিয়ে বসেছিল এই সাত যুবক। খেলার শুরু থেকেই সব কিছুই ভাল চলছিল। চার ছয় মারার সঙ্গে সঙ্গে জুয়ার দরও ওঠানামা করছিল। খেলা নির্ধারিত ওভারের পর টাই হয়ে যাওয়ার পর সুপার ওভারে বেশ বড় ধরনের দাঁও মারার আশায় ছিল এই এরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মারফত পুলিশ খবর পেয়ে ধর্মডাঙার বাড়িতে হানা দেয়। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ৭ জুয়ারি। তবে অনলাইনে আইপিএলের এই বেটিং চললেও কোনও অবস্থাতেই টাকাপয়সা অনলাইনে লেনদেন হত না। সবটাই হত নগদে। অনলাইনে লেনদেন হলে ধরা পড়ে যাওয়ার
সম্ভবনা অনেক বেশি, সে সম্পর্কে সচেতন ছিল তারা। পুলিশের অনুমান, স্থানীয় অনেকেই এই বেটিংয়ে অংশ নিয়েছে। যার ফলে এদের নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয় নি। তবে এর পিছনে বড় কোনও মাথা আছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। সেই পাণ্ডারই খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.