ছবি - প্রতীকী
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠছিল। এবারে পুলিশের অভিযানে সেই অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল। দুটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক মহিলা-সহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করল খড়গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ৮ জন যুবতী ও মহিলাকে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, খড়গপুর গ্রামীণ থানার সাহাচক ও সাদাতপুর এলাকায় ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি হোটেলে মধুচক্র চালানো হচ্ছে। তার জন্য জেলার বাইরে থেকে মহিলাদের এই হোটেলগুলিতে নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। শুক্রবার রাতে খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপক সরকারের নেতৃত্বে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ এই দুটি এলাকায় ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুটি হোটেলে অভিযান চালায়। তাতে দুটি হোটেলে মধুচক্রের আসর থেকে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ৮ জন যুবতী ও মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি হোটেল দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু সামগ্রী এবং নগদ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুটি হোটেলের মালিক রয়েছেন। এঁরা হলেন তপন মাইতি ও সুইটি বিবি। এঁদের বাড়ি মোহনপুর ও মেদিনীপুর কোতয়ালী থানা এলাকায়। আর বাকি পাঁচজন পুরুষ খদ্দের। উদ্ধার হওয়া যুবতী ও মহিলা-সহ সকলকে শনিবার জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশে দুই হোটেল মালিকের দু’দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। বাকি পাঁচ ব্যাক্তির জেল হাজত হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া যুবতী ও মহিলাদের হাওড়ার লিলুয়া হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঁরা সকলেই কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এই জেলারও দুজন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ব্যাপারে খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপক সরকার জানিয়েছেন, ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুটি হোটেলে মধুচক্রের আসর থেকে এক মহিলা-সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন হোটেল মালিক রয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে আটজন যুবতী ও মহিলাকে। দুটি হোটেলে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শিবম হোটেল থেকে আটক করা হয়েছে নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা, দশ থেকে বারোটি মদের বোতল ও কন্ডোম। অপরদিকে কালিমাতা হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ কুড়ি হাজার টাকা, আট বোতল মদ ও কন্ডোম। প্রসঙ্গত খড়গপুর গ্রামীণ থানার সাহাচক ও সাদাতপুর এলাকায় ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি হোটেলে দেহ ব্যবসা বহুদিন ধরে রমরমিয়ে চলছে। তবে এই অভিযানে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবার সবকিছু ম্যানেজ করে চালু হয়ে যাবে বলে স্থানীয় সকলেরই ধারণা। কারণ এর আগেও এরকম পুলিশি অভিযান হয়েছে কয়েকবার। পরে অবশ্য সবকিছু বহাল তবিয়তে ফের চালু হয়েছে বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.