নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সিউড়ির পর তারাপীঠ। একটি লজে হানা দিয়ে মধুচক্রের আসর ভাঙল পুলিশ। আপত্তিকর অবস্থায় তিন মহিলা-সহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে বীরভূমের তারাপীঠ থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। দায়রা বিচারক সৌভিক ভট্টাচার্য ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
তারাপীঠের লজে মধুচক্রের আসর- এমন রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। শুধু এ রাজ্যের নয় পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারাপীঠ আসেন যৌন কর্মীরা। শুধু মধুচক্র নয়, তারাপীঠের আসর থেকে বহু অপরাধের নীল নকশা তৈরি হয়। অভিযোগ, এর মূলে রয়েছে পুলিশি তৎপরতা না থাকা৷ বিভিন্ন সময় পুলিশের পক্ষ থেকে লজে ওঠা যাত্রীদের পরিচয়পত্র নিতে বলা হয়। একসময় তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু এক শ্রেণির লজ ব্যবসায়ী পরিচয়পত্র ছাড়াই যাত্রীদের মোটা টাকায় লজের ঘর দিয়ে দেওয়ায় তারাপীঠ দিন দিন অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। তবে মাঝেমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লজগুলিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
[মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশের জালে কুখ্যাত জমি মাফিয়া, থানায় তাণ্ডব অনুগামীদের]
শনিবার রাতে তেমনই অভিযান চালাতে গিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা, চারজন পুরুষ রয়েছে। ধৃতদের বাড়ি মালদহ, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের নলহাটি এলাকায়৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে লজের ম্যানেজারকেও। আজ ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক সৌভিক ভট্টাচার্য ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিনহা বলেন, “চারজন পুরুষ ও তিন জন মহিলা দেহব্যবসার জন্য দু’টি লজে উঠেছিল। তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সব জেনেও তাঁদের ঘর দেওয়ার জন্য হোটেল ম্যানেজারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফের ১৭ আগস্ট ধৃতদের আদালতে তোলা হবে৷”
[গণপিটুনি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত ফালাকাটা থানার আইসি-সহ ৩]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.