ধীমান রায়, কালনা: রমরমিয়ে চলছিল জুয়ার আসর। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে জুয়াড়ি ও গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার এএসআই প্রশান্ত প্রামাণিককে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে পুলিশের গাড়িও। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জুয়ার ঠেক ভাঙার নাম করে অন্তত ১৫টি বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার মথুরাপুর গ্রামে জুয়ার ঠেক চলছে। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। গোপন সূত্রে এই খবর পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। আরও খবর ছিল, শিবরাত্রিকে সামনে রেখে বড়সড় জুয়ার আসর বসেছে মথুরাপুর গ্রামে। সেইমতো বেআইনি জুয়ার ঠেক ভাঙতে বুধবার গভীর রাতে মথুরাপুর গ্রামে অভিযান চালায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন মন্তেশ্বর থানার ওসি সৈকত মণ্ডল। অভিযোগ, পুলিশকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। গ্রামবাসীদের সমবেত আক্রমণে পিছু হঠতে থাকে পুলিশ বাহিনী।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের দু’জন সাব ইন্সপেক্টর এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর জখম হয়েছেন। এএসআই প্রশান্ত প্রামানিক, ইদ্রিস শেখ ও সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ মোস্তাফার শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এএসআই প্রশান্ত প্রামাণিককে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রাত থেকেই তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.