Advertisement
Advertisement
Murder

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায়ের পর ভিন জেলায় দম্পতিকে খুন! পুলিশের জালে অভিযুক্ত

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা দম্পতির দেহ উদ্ধার হয় মালদহ থেকে।

Police arrests man at North Dinapur accussed of murdering couple after receiving Rs 4 lakhs from them |Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 14, 2021 10:31 am
  • Updated:May 14, 2021 10:31 am  

শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: নার্সের চাকরি দেওয়ার নাম করে দম্পতির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা আদায়ের পর ভিন জেলায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের খুন। এমনই গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার এক উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইটাহারের এক ব্যক্তি। ধৃত কৃষ্ণগোপাল অধিকারী এলাকায় ‘গোঁসাই’ বলে পরিচিত। তবে এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে অন্যদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ ছিল। তবে নৃশংসভাবে খুনের (Murder) অভিযোগ এই প্রথম। শুক্রবার সকালে মালদহ থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইটাহারে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ কৃষ্ণগোপাল অধিকারীকে গ্রেপ্তার করে।

ইটাহারের বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা গৌতম সরকার ও তাঁর স্ত্রী সবিতা সরকার। নার্সের চাকরি পাওয়ার জন্য ধৃত কৃষ্ণগোপাল অধিকারীর উপর ভরসা করে এঁরাই প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনা পরম্পরা খানিকটা এরকম। এঁদের নার্সের চাকরি দেওয়ার নাম করে কৃষ্ণগোপাল অধিকারী শিলিগুড়ির উদ্দেশে নিয়ে যান। সেটা গত ৪ মে। এরপর থেকে তাঁদের আর খোঁজ ছিল না। ৯ তারিখ পুত্র ও পুত্রবধূর নিখোঁজের কথা প্রকাশ্যে এনে ইটাহার থানায় ডায়েরি করেন গৌতমবাবুর বাবা রামরঞ্জন সরকার। দায়ী করা হয় কৃষ্ণগোপালকে। এরপর শুক্রবার সকালে মালদহের গাজোলে, কৃষ্ণগোপালের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গৌতম এবং সবিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের দু’জনকে দুই ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। দু’জনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁদের থেকে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছিল বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্ধ লোকাল ট্রেন, যাত্রী হয়রানি কমাতে বাস, লঞ্চের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর]

শুক্রবার সকাল থেকেই ইটাহারের বাঙ্গার এলাকায় উত্তেজনা। ধৃত কৃষ্ণগোপাল অধিকারীর বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এলাকায়। তবে এবার কী কারণে দম্পতিকে ভিন জেলায় নিয়ে গিয়ে একেবারে খুনের মতো ঘটাল সে, সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিশদে কিছু বলতে নারাজ জেলা পুলিশ প্রশাসন। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: মৃত্যুর আশঙ্কায় টিকাকরণে অনীহা বাসিন্দাদের! রামপুরহাটের হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে ভ্যাকসিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement