অর্ণব দাস, বারাকপুর: চিকিৎসক তথা লেখিকা প্রজ্ঞাদীপা হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার তাঁর লিভ ইন পার্টনার। সেনা হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে শুক্রবারই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বারাকপুর কমিশনারেট। সেনার তরফে জানানো হয়েছিল কৌশিক অসুস্থ। তাই তাকে হেফাজতে নিতে কিছুটা সময় লাগল পুলিশের।
প্রজ্ঞাদীপা হালদার বারাসত ১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন। বছর চারেক আগে সেনা হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা একসঙ্গে ম্যান্ডেলা হাউসে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, পরে প্রজ্ঞাদীপা জানতে পারেন একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে কৌশিকের। প্রতিবাদ করলে প্রজ্ঞাদীপার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ।
এরপর মঙ্গলবার প্রজ্ঞাদীপার পরিবারকে জানানো হয়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসক। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে বারাকপুর থানার পুলিশ। ওই সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম, এর শোধ কেউ নেবে। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কৌশিক।” বৃহস্পতিবার মৃতার মা দাবি করেন, কৌশিকই খুন করেছে তাঁর মেয়েকে। প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার কৌশিক। তবে চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.