Advertisement
Advertisement
Barrackpore

বারাকপুরের ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি কাণ্ডে ধৃত শুটার

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ টিম।

Police arrests another person in Barrackpore businessman attack case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 5, 2024 6:22 pm
  • Updated:August 5, 2024 6:22 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: বেলঘরিয়ার রথতলায় বারাকপুরের ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল শুটারকে। ধৃত উত্তম প্রসাদ ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জের চয়নপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ টিম। সোমবার তাকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শুটারকে গ্রেপ্তারের পর ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। আরও চারজন এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তারা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। তাদেরও খুব শীঘ্রই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট নিজেদের হেফাজতে নেবে বলেই জানা গিয়েছে।

সোমবার বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর প্রথমে বিহারের সমস্তিপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ঘটনার পরদিন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে ফোন করে হুমকি দেয়। তারপর আলতাফ রাজা ও সাহিল সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বিহার থেকে দুটি বাইক, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গুলি নিয়ে আসে রোশন যাদবের নির্দেশে। রোশন যাদবকেও বিহারের বেউর জেল থেকে নিয়ে আসা হয়। সে অজয় মণ্ডল ও আরেক ব্যবসায়ী তাপস ভকতকে হুমকি দিয়েছিল বলেই অভিযোগ। সুবোধ সিংকেও বেউর জেল থেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় সে পুরো ঘটনা ঘটিয়েছিল। মোটিভ ছিল ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়া।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন দেশে স্বাগত’, হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই ‘নিকৃষ্ট, নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসক’ কটাক্ষ ফারুকীর]

তাকে জেরা করে জানা যায় উত্তম প্রসাদের কাছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেই ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। বাইক চালাচ্ছিল ডালটনগঞ্জের বাসিন্দা রিশু কুমার পাণ্ডে। নাকা চেকিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। বর্তমানে সে জেলে আছে। তাকেও নিয়ে আসা হবে। আরও দুজন অন্য একটি বাইক নিয়ে এসেছিল। তাদের নাম বিবেক ও পঙ্কজ শর্মা, দুজনেরই বাড়ি ডালটনগঞ্জ থানা এলাকায়। শশীভূষণ প্রসাদ নামে আরেকজন জড়ো হয়। সকলকে নিয়ে এসে অপরাধ সংগঠিত করা হয়।

গত ২৮ জুন, রাঁচিতে সোনার দোকানে আনুমানিক দেড় কোটি টাকার ডাকাতি হয়েছিল। সেই ডাকাতির ঘটনায় এই তিনজনই বর্তমানে রাঁচি জেলে আছে। তাদেরকে নিয়ে আসারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত সকলেই অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগে বালি থানা এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে ছিল। সেখানে বিল্লা বলে একজন থাকত, রান্না করত। শুটআউটের ঘটনার পর ১৮ জুন তারা একটি খুন করে। ডালটনগঞ্জ থানায় সেই মামলা চলছে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের সেনাশাসন! অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা সেনাপ্রধানের, থাকবে আওয়ামি লিগ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement