সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী, তোমরা সবাই ভালো থেকো।” কৃষ্ণনগরের মৃত ছাত্রীর সোশাল মিডিয়ার শেষ পোস্ট ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মঙ্গলবার গভীর রাতে সোশাল মিডিয়া থেকে ওই পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ছাত্রী নিজে করেছেন নাকি খুনের পর ঘটনার মোড় ঘোরাতে কেউ করেছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কৃষ্ণনগরের আনন্দময়তলা বালকেশ্বরী মন্দির লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা থেকে বাড়ি থেকে বেরয়। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেনি সে। শুরু হয় খোঁজখবর। তবে রাতভর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মোটে ৫০০ মিটার দূরে তার দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় পোশাক প্রায় অবিন্যস্ত ছিল। অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে তার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে একটি পোস্ট করা হয়। শেষ পোস্টে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী, তোমরা সবাই ভালো থেকো।” এই পোস্টটি মৃত্যুর আগে নিজে করেছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাকি অন্য কেউ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কোতয়ালি থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, এই ঘটনায় তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক করা হয় তরুণীর প্রেমিকের বাবা-মাকেও। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, প্রেমিকই ধর্ষণ করে খুন করেছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে। তবে ঠিক কী কারণে এমন সন্দেহ করছেন পরিবারের লোকজন, সে বিষয়ে তাঁরাও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.