ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ডোমজুড়ে শুটআউটের (Domjur Shoot Out) একদিনের মধ্যে পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাপস গোলুইকে খুনে সুপারি কিলারকে কাজে লাগিয়েছিল ওই মহিলা। নিহতের ছেলের সঙ্গে মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাপস গোলুইয়ের ছোট ছেলের সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিল। সেই ছবির মাধ্যমে মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করত ওই যুবক। সেকথা তাপসকে জানিয়েছিল ওই মহিলা। তবে ছেলেকে কিছুই বলেনি তাপস। পরিবর্তে বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মহিলার বাড়িতে হানা দেয়। তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। তারই প্রতিশোধ নিতে একজন সুপারি কিলারের মাধ্যমে তাপসকে খুনের পরিকল্পনা করে মহিলা।
উল্লেখ্য, হাওড়ার মাকড়দহের কাটলিয়ার মালিপাড়া চাঁপাতলার বাসিন্দা তাপস। দীর্ঘদিন ধরে নানা অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার হয়ে মাত্র ৮ দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পায় সে। রবিবার সকালে তাপসের বাড়ি থেকে মাত্র ৬০ মিটার দূরে একটি তিন মাথার মোড়ে স্কুটি নিয়ে মাংস কিনতে যাচ্ছিলেন। তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ২ দুষ্কৃতী হাঁটতে হাঁটতে এসে তাপসকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। মাথা, বুক, হাত -সহ শরীরের নানা জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাপসকে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের তরফে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই দুষ্কৃতীদের ধরতে আরও তৎপর হয় পুলিশ। তদন্তে নেমে ৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। অপর যে যুবক তাপসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তার খোঁজে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত তল্লাশি চালায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সলপের বাসিন্দা তাপস ৮ বছর আগে মাকড়দহের মালিপাড়ায় এসে বসবাস শুরু করে। লোহার ছাঁট বিক্রি করেই রোজগার ছিল তার। নানারকম অসামাজিক কাজকর্মের পাশাপাশি মহিলাঘটিত মামলাতেও গ্রেপ্তার হয় সে। পুলিশের খাতায় সমাজবিরোধী বলে পরিচিত তাপস ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন হল কি না তা এখনও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.