সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বেআইনি ভাবে মাওবাদীদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখা এবং সেই অস্ত্র দেখিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া৷ মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার অমরাবতী এলাকার থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ ধৃতদের নাম সোহম চট্টোপাধ্যায় ও নয়ন দে ওরফে কালু। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি সিক্স শটার পাইপগান এবং চার রাউন্ড কার্তুজ।
[ আরও পড়ুন: রাখি বন্ধন উৎসবের টাকার দাবিতে পড়ুয়াদের ভাঙচুর, ক্যাম্পাসিং বানচাল কলেজে]
জানা গিয়েছে, সোহম চট্টোপাধ্যায় টাউনশিপের বাসিন্দা এবং নয়ন দে অমরাবতী কলোনির বাসিন্দা। সোহম দুর্গাপুরের ফুলঝোরের একটি বেসরকারি কলেজে এ্যাপ্লাইড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা তুলছিল অভিযুক্ত দুই যুবক৷ সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছিল তারা৷ এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছে তাদের কাছে৷ এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ৷ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে৷ তবে এই যুবকদের কাছে কীভাবে মাওবাদীদের ব্যবহার করা অস্ত্র এল, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ৷ তাদের দাবি, এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আগে ওই অঞ্চলে দেখা যায়নি ফলে কার্যত হতবাক আধিকারিকরা৷
[ আরও পড়ুন: গলায় সাপ জড়িয়ে দিয়ে হুমকি, টাকা দিলে তবেই মিলবে রেহাই ]
সূত্রের খবর, একটি সিক্স শটার পাইপগান এবং চার রাউন্ড কার্তুজ ছাড়াও, ধৃতদের মোবাইলেও নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি মিলেছে৷ কোন বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার উদ্দেশ্যেই এরা প্রস্তুত হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের৷ এই দুই যুবকের সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবারই ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে করা হয় এবং পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সোহম যথেষ্ট মেধাবী। মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল সে। এত মেধাবী ছাত্র হয়েও কীভাবে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, এটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.