Advertisement
Advertisement
Kalna serial killing

পরপর খুনের রহস্যভেদ, পুলিশের জালে কালনার ‘চেন কিলার’

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই মিলল সাফল্য।

Police arrested main accused in Kalna serial killing
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 3, 2019 12:28 pm
  • Updated:June 3, 2019 2:44 pm  

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: গলায় চেনের ফাঁসেই প্রাণনাশ কিংবা গলায় ফাঁস টেনে তারপর মাথায় আঘাত করে খু্‌ন। একই কায়দায় পরপর হত্যাকাণ্ডের জট খুলল অবশেষে। পূর্ব বর্ধমানের কালনামেমারিতে গত কয়েক মাস ধরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া ‘সিরিয়াল কিলিং’য়ের নাটের গুরু ‘চেন কিলার’কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখে ওই যুবকের হদিশ মিলেছে বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে ধৃত যুবককেই সিরিয়াল কিলার বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে তোলাবাজি! পুলিশকে বেধড়ক মার ব্যবসায়ীদের]

সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের নাম কামরুজ্জামান সরকার। আদিবাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও, পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে থাকত সে। বস্তুত পুলিশি তদন্তে কামরুজ্জামান স্বীকারও করেছে যে, বাইক চেপে বিভিন্ন এলাকায় যেত সে এবং ঘরে ঢুকে প্রথমে মহিলাদের চেনের ফাঁসে কাবু করে, তারপর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করত। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্রেফ বর্ধমানেই নয়, হুগলির বলাগড়-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একই কায়দায় একের এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, অপরাধ করার পর আততায়ী কোনও সূত্র রেখে যাচ্ছিল না। ফলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। শেষপর্যন্ত চেন কিলারের হাত থেকে যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের  বিবরণ শুনে আততায়ীর ছবি আঁকানো হয়। বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তকারীদের হাতে আসে। সেই সূত্র ধরেই বর্ধমান জেলাজুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং। আর তাতেই ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত কামরুজ্জামান সরকার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে যখন কালনা থানার বুলবুলি তলা ফাঁড়ির কাকুরিয়া গ্রামে নাকা চেকিং করছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা, তখন সেখান দিয়ে লাল বাইক নিয়ে সাদা জামা কালো প্যান্ট পরে যাচ্ছিল কামরুজ্জামান সরকার। ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে  ধরে ফেলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বাইকে ঝোলানো ছিল একটি ব্যাগও। যা সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। ওই ব্যাগ থেকে একটি লোহার চেন ও লোহার রডও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বছর পনেরো আগে কালনায় আসে কামরুজ্জামান। বছর দেড়েক আগে সমুদ্রগড়ের এক যুবতীকে বিয়ে করে সে। বেছে বেছে ফাঁকা বাড়িতে মহিলাদের উপর হামলার চালাত ওই যুবক। এখনও পর্যন্ত কালনা, মেমারি-সহ পূর্ব বর্ধমানে চেন কিলারের হামলা ঘটেছে দশটি। পুলিশ তদন্তে সাফল্য না মেলায়, চেন কিলিং-এর তদন্তে নেমেছিল সিআইডি। আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ছবি: মোহন সাহা

[আরও পড়ুন: লাগাতার উত্যক্ত, শিলিগুড়িতে অপমানে আত্মঘাতী কিশোরী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement