দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরপাড়ায় ব্যাংক ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, ধৃত সঞ্জয় পাসোয়ান, তাপস দাস, সঞ্জীব পাসোয়ান মুখে কাপড় বেঁধে শুক্রবার দিনেদুপুরে ব্যাংকে ঢোকে। সেই সময় ব্যাংকে টাকার হিসাব মেলানোর কাজ চলছিল। ব্যাংক আধিকারিকদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুট করে তারা। মোট ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৪০ টাকা লুট করে ওই তিনজন। টাকা লুট করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংক থেকে ২০০ মিটার দূরে কয়েক বান্ডিল নোট পড়ে যায়। তা দেখে স্থানীয়রা চিৎকার করে। তবে তাতে আততায়ীরা কান দেয়নি। পরিবর্তে বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় তারা। এই ঘটনার পরই কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে। অভিযুক্তদের খোঁজে ব্যান্ডেল, বালি, বালিখাল, ডানকুনি, পেয়ারাপুরে নাকা তল্লাশি শুরু হয়। এডিসিপি ঈশাণী পাল জানান, “আমাদের কাছে খবর আসে উত্তরপাড়ার ভদ্রকালী এলাকায় জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে টাকা ভাগ করছে দুষ্কৃতীরা। সেই অনুযায়ী ওই এলাকায় হানা দিয়ে সঞ্জয়, তাপস এবং সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
সঞ্জয় পাসোয়ান ওরফে ছোটুকে জেরা করে জানা যায়, এই ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড চুঁচড়ার রবীন্দ্রনগরের প্রীতম ঘোষ। ডিসিপি হেড কোয়ার্টারের নেতৃত্বে সেখানেও হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রীতমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজনের কাছ থেকে মোট নগদ ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতমের বিরুদ্ধে নানা অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। একাধিক জাল আধার কার্ডও ব্যবহার করত সে। হাওড়ায় দু’টি পেট্রল পাম্প, কোন্নগরে সোনার দোকান, পাণ্ডুয়া এবং ওড়িশাতেও পেট্রল পাম্পে ডাকাতি করেছিল প্রীতম। ওড়িশার ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয় তাকে। বছর দেড়েক আগে সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে চুঁচুড়ায় চলে আসে। রবীন্দ্রনগরে থাকতে শুরু করে প্রীতম। আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে প্রীতম-সহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আরও তথ্যের খোঁজ করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.