রাজ কুমার, শুভদীপ রায় নন্দী: মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরকারি দপ্তরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার যুবক৷ ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে শিক্ষকতার চাকরি বাগানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘শিক্ষক৷’ আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতির তৎপরতায় বৃহস্পতিবার এই ভুয়ো শিক্ষক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে শিলিগুড়িতে বন-দপ্তরের কার্যালয়ে ঢুকে কাগজপত্র ঘাটার অভিযোগ৷ প্রথমে ধরা না গেলেও পরে সন্দেহ হয় বন দপ্তরের কর্মীদের। পালটা জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফাঁস হয় গোটা ঘটনা৷ দপ্তরে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও শেষমেশ ঠাঁই হয় শ্রীঘরে। ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম অমিত কুমার দে৷ বাড়ি দক্ষিণ ভারতনগর এলাকায়৷ পেশায় বিএসএনএলের অস্থায়ী কর্মী। এদিন বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অফিসে ঢুকে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আচমকা কাগজপত্র ঘাটতে শুরু করে এই ব্যক্তি। কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে অমিত দে। এরপর পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়।
[বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-সহ পাহাড়ে গ্রেপ্তার গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা]
অন্যদিকে ভুয়ো প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের গ্রেপ্তারির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতির তৎপরতায় বৃহস্পতিবার এই ভুয়ো শিক্ষক গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এদিন আলিপুরদুয়ার উত্তর মণ্ডলের অধীন মাঝেরডাবরি বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভুয়ো শিক্ষককে ধরে ফেলেন আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। পরে ওই শিক্ষককে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়৷ দীর্ঘ জেরার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। শিক্ষকের সঙ্গে এই চক্রের এক পাণ্ডাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[মোমোর মৃত্যুফাঁদে বেলডাঙার যুবক, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার ভুয়ো শিক্ষকের নাম জয়মোহন রায়। বুধবার তিনি ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে মাঝের ডাবরি বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার এই শিক্ষকের কাজে যোগদান সম্পর্কে জানতে পারেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অফিস থেকে বেরিয়ে মাঝের ডাবরির স্কুলে পৌঁছে যান৷ সেখানে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই শিক্ষককে৷ নিজের গাড়িতে করে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে ওই শিক্ষক ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া চক্রের এক পাণ্ডা উত্তম বর্মণকে ফোন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে আনানো হয়৷ দীর্ঘ জেরার পর দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আলিপুরদুয়ার থানা পুলিশ৷ খবর পেয়ে এদিন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে ছুটে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও৷
[বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে এসে পাত্রীর টাকা-মোবাইল ছিনতাই হবু বরের]
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “এদিন সকাল এগারোটায় আমি অফিসে ঢুকি। অফিসে ঢোকা মাত্র খবর পাই মাঝের ডাবরি বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন নতুন শিক্ষক কাজে যোগদান করেছেন। আমি কোন সময় নষ্ট না করে ওই স্কুলে যাই। সেখানে গিয়ে সেই ভুয়ো শিক্ষক ও তার জাল নিয়োগপত্র দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে আমার নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যায়। অফিসে আরও একজন পাণ্ডাকে ফোনে ডেকে আনা হয়৷ পরে পুলিশ এসে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.