নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুতের মামলায় বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ সামাদকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে তোলা হয় সিউড়ি আদালতে৷ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক সৌম্য চট্টোপাধ্যায়৷ ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বীরভূম জেলার প্রতি ব্লকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মীরা৷ অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ওই নেতাকে৷
এদিনের মামলা সম্পর্কে সরকারি আইনজীবী কেশব দেওয়াশি জানান, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র-সহ হামলা, বিস্ফোরক মজুত-সহ একাধিক মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। যার মধ্যে পাঁচটি মামলা হয় জুলাই মাসেই৷ যদিও পাড়ুই থানার পুলিশ জানিয়েছে, তাদের খাতায় পলাতক ছিল শেখ সামাদ। যদিও বিজেপি নেতার আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, হেফাজতে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ এদিন আদালতে জমা দিতে পারেনি পুলিশ৷ সামাদের কাছে বন্দুক পাওয়া যেতে পারে, কেবলমাত্র এই অনুমানে তাকে হেফাজতে চেয়েছে তাঁরা। বিচারক তাঁদের চারদিনের মধ্যে ফের সামাদকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন শেখ সামাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আটকে রেখে এলাকায় বিজেপিকে রোখা যাবে না। আমাদের ক্রমাগত আন্দোলনে অতিষ্ঠ পাড়ুই থানার পুলিশ, আমাকে জেলে ভরে স্বস্তিতে থাকতে চাইছে। তা বিজেপি নেতৃত্ব হতে দেবে না।’’ অন্যদিকে মিথ্যা মামলায় পাড়ুইয়ে দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলার প্রতিটি ব্লকে বিকেল তিনটে থেকে একঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘সামাদকে আটকে বিজেপিকে রোখা যাবে না। আমরা পাড়ুইয়ে শান্তি ফেরাতে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাব। পাশাপাশি সামাদের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধেও আইনি লড়াই চলবে।’’
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই পাড়ুই এলাকায় শেখ সামাদ বিজেপির নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাড়ুইয়ের অবিনাশপুরের সনৎ দাসের উপর তৃণমূলের আক্রমণের বিরুদ্ধে এলাকায় লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। পাড়ুই থানা ঘেরাও করা, পথ অবরোধ থেকে শুরু করে সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.