Advertisement
Advertisement
অধ্যাপক খুন

পাপড়ির সঙ্গে ঘর বাঁধতেই অধ্যাপককে খুন মেধাবি অজয়ের, পুরুলিয়া কাণ্ডে নয়া তথ্য

ফেসবুকে খোঁজ পাওয়ার পর আবারও পাপড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অজয়ের।

Police arrested Ajay and Papri in Purulia's proffessor murder case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 6, 2020 9:28 pm
  • Updated:February 6, 2020 9:28 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: অঙ্কে অনার্স। কম্পিউটারে মাস্টার্স। তাই মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে মোটা টাকা বেতনে একটি কর্পোরেট সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ পান। সেই হিসাবের অঙ্ক অনায়াসে মিলিয়ে দিলেও নিজের জীবনের অঙ্কটা আর মেলাতে পারল না অধ্যাপক অরূপ চট্টরাজের ‘খুনি’ অজয় আম্বানি! এই ঘটনার পুনর্নির্মাণ পর্বে ধৃত অজয় আম্বানিকে জেরা করে তার ব্যক্তিগত জীবন জানার পর একথাই বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুরুলিয়া সদর থানায় পুলিশের কাছে এসে কপাল চাপড়াচ্ছেন তার বাবাও। মেধাবি ছেলে কিভাবে খুন করে ফেলল? তার ছেলে যেমন জীবনের অঙ্ক মেলাতে পারেনি। তেমনই এই প্রশ্নের উত্তর যেন মেলাতেই পারছেন না একমাত্র সন্তানের বাবা।

ধৃত অজয়কে জেরা করে পুলিশ বুঝে গিয়েছে, সে পেশাদার খুনি নয়। কলেজ জীবনের প্রেমিকাকে কুড়ি বছর পর ফেসবুকে ফিরে পেয়ে তাকে অন্ধের মতো ভালবাসাটাই কাল হয়েছে। পুলিশি জেরায় একাধিকবার ভেঙে পড়ে সেই কথা কবুলও করে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের আধারতাল থানার নিউ রামনগরের আমখেরার বাসিন্দা অজয় আম্বানি। পুলিশ তার ব্যক্তিগত জীবনের ডায়েরি উলটে দেখেছে, শহর পুরুলিয়ার জগন্নাথ কিশোর মহাবিদ্যালয়ের এই ছাত্র কলেজে মেধাবি বলেই পরিচিত ছিল। তার বাবা ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার সুদামডি কোলিয়ারিতে কাজ করার সুবাদেই ধৃত অজয় শহর পুরুলিয়ার জগন্নাথ কিশোর মহাবিদ্যালয়ে পড়ত। তখন ২০০০ সাল। নিহত অধ্যাপক অরূপ চট্টরাজের স্ত্রী পাপড়ি তখন স্কুলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির, মুসলমান প্রতিবেশীর কবরে মাটি দিলেন হিন্দুরা]

পুলিশি জেরায় অজয় জানিয়েছে, তার এক বন্ধুর সঙ্গে পাপড়ির বন্ধুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরেই সেই সময় অজয়-পাপড়ির বন্ধুত্ব তৈরি হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অজয় অঙ্কে অনার্স করে মধ্যপ্রদেশ চলে যাওয়ার পর কলেজ জীবনের প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু অজয় এবং পাপড়ির মনের কোণায় এই স্মৃতি থেকে যায়। সেই কারণেই আড়াই বছর আগে অজয় তার প্রেমিক পাপড়িকে ফেসবুকে খুঁজে পাওয়ার পর পুরনো প্রেম আবারও দানা বাঁধে। নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা শুরু করে তারা। পুলিশি জেরায় অজয় জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গে গত তিন বছর ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না। ফলে পাঁচ বছর বয়সি ছেলেকে নিয়ে তার স্ত্রী আলাদা থাকে। তাই পাপড়িকে ফেসবুকে খুঁজে পেতেই বুকের কোণে মোচড় দিয়ে ওঠে অজয়ের। এদিকে পাপড়িরও অধ্যাপক স্বামীর সঙ্গে প্রায় কুড়ি বছর বয়সের ফারাকে মানসিক দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। যার পরিণতি জীবনের অঙ্কটা ঠিকঠাক মেলাতে না পেরে নিরীহ অধ্যাপকে খুন করে অজয়। তাই আপাতত কারাগারেই দিন কাটছে তার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement