সৌরভ মাজি, বর্ধমান: হাইওয়েতে হানি ট্র্যাপ! এই জালে ফেঁসে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন লরিচালকরা। বেশ কিছুদিন ধরেই ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন হাইওয়েতে সক্রিয় হয়েছিল এই দুষ্কৃতী চক্র। সোমবার ভোরে বর্ধমানে এই চক্রের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ। অপারেশন চালানোর আগেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক ধৃতদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপন সরকার, সুজিত দাস, সুদীপ দাস ও সঞ্জু ঘোষ। তাদের বাড়ি বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন বেচারহাট, আমবাগান এলাকায়। ডিএসপি ট্রাফিক-২ রাকেশকুমার চৌধুরী জানান, ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি, ভোজালি, দড়ি-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের বাকিদের সন্ধান চালানো হবে। পাশাপাশি, ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছে সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতরা আগেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
হাইওয়েতে কীভাবে চলতো হানিট্র্যাপ? ডিএসপি জানান, দুষ্কৃতী দলের কোনও একজন মহিলা সেজে হাইওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে। মূলত ভিনরাজ্যের লরিচালকদের টার্গেট করে তারা। মহিলার টোপে লরিচালক দাঁড়ালে বাকি দুষ্কৃতীরা এসে আগ্নেয়াস্ত্র বা অস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি করে। এই দলটিও এমন কাজে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এদিন ভোরে বর্ধমানের উল্লাস এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই দলটি জড়ো হয়ছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে চারজনকে ধরে। কয়কজন পালিয়ে গিয়েছে। ধৃতরা আর কোন কোন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.