দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: চোখের সামনে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। খুদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে পোলবা দুর্ঘটনায় আহত বছর ছয়েকের অমরদ্বীপকুমার সাহা। তবে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও যেন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাকে।
শুক্রবার হুগলির পোলবায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারটিতেই ছিল অমরদ্বীপকুমার সাহা নামে ওই খুদে পড়ুয়া। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় সে। ভরতি করা হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শুরুর ধীরে ধীরে উন্নতির পথ খুদে। কিন্তু ওই দিনে স্মৃতি এখন তাজা অমরদ্বীপের মনে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেও তাতে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বারবার সে দাদুকে বলছে গাড়ির চালককে বদলে দিতে। অমরদ্বীপের দাদু অভিজিৎবাবুর কথায়, ‘নাতি প্রাণের থেকেও প্রিয়। আগে বহুবার শুনেছি রাস্তা পড়ুয়াদের নামিয়ে গাড়ি বদলানো হত। কখনও আবার বদলে যেত চালক। কিন্তু তার পরিণতি এতটা ভয়ংকর হতে পারে তা ভাবতে পারিনি।”
নাতির সঙ্গে কথা বলে অভিজিৎবাবু জানতে পেরেছেন, প্রতিদিনই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতো চালক। দুর্ঘটনার দিনও তাই করে অভিয়ুক্ত চালক। অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্দশা। অভিজিৎবাবুর কথায়, এই ঘটনার পর আর কোনওভাবেই নাতিকে পুলকারে স্কুলে পাঠাবেন না তিনি। প্রয়োজনে নাতির সুরক্ষায় গাড়ি কিনবেন নিজেই। বেঁধে দেবেন গতির সীমাও। কিন্তু কোনওভাবেই আর নাতিকে বিপদের মুখে পড়তে দেবেন না অভিজিৎবাবু। অমরদ্বীপের মতোই ওই পুলকারে ছিল আরও ১৪ পড়ুয়া। ১০ জনের সামান্য আঘাত লাগলেও মোটের উপর সুস্থই রয়েছে সকলে। কিন্তু আতঙ্কে রয়েছে তারাও। স্কুলে যাওয়ার কথা ভাবতেই শিউড়ে উঠছে কেউ কেউ। কেউ আবার স্কুল মুখো হবে না বলে মুখ লুকোচ্ছে এক কোনে। কতদিনে এই স্মৃতি মুছে ফের নতুন করে সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবে এই পড়ুয়ারা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.