স্টাফ রিপোর্টার: দুরারোগ্য ব্যাধিকে থোড়াই কেয়ার! পলাশের প্রেমে ভিড় বাড়ছে বেলুড় ইএসআই যক্ষ্মা হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পিকনিকের মেজাজে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। যক্ষ্মা হাসপাতালের মধ্যে এই ভিড়কে রীতিমতো আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার ডা. উৎপল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্পুটাম পজিটিভ নিয়ে যে হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি রয়েছেন, সেই চত্বরে সাধারণ মানুষ যাওয়ার মানেই যক্ষ্মা রোগকে টেনে আনা। মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর উপায় এটি। সরকারি হাসপাতালের সংরক্ষিত জায়গায় এই ভিড় আইন বিরুদ্ধ বলে তিনি মনে করেন। অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে এই বল্লাহীন ভিড়ের জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় সাঁপুইপাড়া বসুকাটির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাধান বাবু মণ্ডল। তিনি বলেন, কেন্দ্রের উচিত এই পলাশ বনকে আলাদাভাবে সংরক্ষিত করা। হাওড়ার সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষিকা লাভলি সেনগুপ্ত বনের সংরক্ষণ দাবি করেন। তার মতে, এটা ভালো দর্শনীয় জায়গা হতে পারে। সোদপুর থেকে এসেছেন তমালি চৌধুরি, বরানগরের স্নেহাশিস বাগ, বজবজের সন্দীপ সেনগুপ্তরা। দুরারোগ্য রোগের ভয় উপেক্ষা করেই সময় কাটাতে চান এখানে। সংরক্ষণের দাবিও করেন তাঁরা। বড় বড় গাড়ি নিত্য যাতায়াত পুষ্পপ্রেমীদের।
অনেকে সুযোগ বুঝে হাসপাতালের মধ্যে খুলে দিয়েছেন খাবারের দোকান। সেই পরিবেশেই মানুষজন খাচ্ছেন। হাসপাতাল চত্বরটি এখন বাইরের গাড়িতে ভর্তি। যাতায়াতে বিড়ম্বনা ঘটছে বলে মনে করেছেন হাসপাতালের কর্মীরা। হাসপাতালের সুপার শৈবাল মিত্র নিজেও এই ভিড়কে আইন বিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এই ভিড় চলছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভিড় উপচে পড়ায় পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.