Advertisement
Advertisement
Narendra Modi

শুভেন্দুর পর কৃষ্ণনাম মোদির মুখেও, চৈতন্যভূমে ভক্তি ও রাজনীতির মিশেল

গো-বলয়ে রাম নামের ভোট কৌশল বাংলায় কৃষ্ণনগরে এসে বদলে গেল চৈতন্য নামে

PM narendra modi use chaitannya name for vote politics at krishnanagar rally

ফাইল ছবি।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 2, 2024 1:12 pm
  • Updated:March 2, 2024 3:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-বলয়ে রাম নামের ভোট কৌশল, কৃষ্ণনগরে এসে বদলে গেল কৃষ্ণ ও চৈতন্যের নামে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর শনিবার সকালে কৃষ্ণনগরের মানুষের চৈতন্য আবেগকে মাথায় রেখে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) মুখে শোনা গেল চৈতন্যের নাম। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরুই করলেন, ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে। একইসঙ্গে চেনা ছকে দুর্নীতি, নারী নির্যাতন ইস্যুতে কড়া সুরে বিঁধলেন তৃণমূলকে।

এদিন জনসভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী তুলে দেন শ্রী চৈতন্যের একটি ছবি। কৃষ্ণ নামে শ্রীচৈতন্যের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “এখানে রাম নাম করতে দেওয়া হয় না।” একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, শ্রী চৈতন্য দেবের প্রেম, ভালবাসা গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাটি থেকে। কৃষ্ণনগরের জনগনকে কাছে টানতে ধর্মীয় আবেগকে উসকে দিতে  ভোলেননি মোদি। এদিন কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মোদি বলেন, “এই জায়গা শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থল। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পরম প্রচারক তিনি। আমি তাঁর পায়ে প্রণাম জানাই। আমি ভাগ্যবান সম্প্রতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তৈরি দ্বারিকা নগর যা বর্তমানে সমুদ্রের নিচে আমি সেখান থেকেও ঘুরে এসেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]

তবে চৈতন্য নামের আবেগকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি মতুয়া ভোটের দিকেও বাড়তি নজর ছিল বিজেপির। সিএএ নিয়ে একটি শব্দ খরচ না করলেও মতুয়াদের কথা মাথায় রেখে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানান, ১১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রঘুনাথপুর এসটিপিপি ফেজ-২১, ৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশন তৈরি হয়েছে। আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত নতুন রেললাইনের সূচনা হয়েছে। রামপুরহাট থেকে মুরারই পর্যন্ত ২৯.৪৮ কিলোমিটার থার্ড রেল পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। উল্লেখ্য, এই এলাকাগুলিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের আধিক্য বেশি।

১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকেও কড়া সুরে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় মোদিকে। মোদি সরব হন ভুয়ো জবকার্ড নিয়েও। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। মোদি বলেন, ”মা, মাটি, মানুষের কথা বলে তৃণমূল মা-বোনেদের ভোট পেয়েছে। কিন্তু এখন মা, মাটি, মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে। সন্দেশখালির মানুষ বিচার চেয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকার তাঁদের কথা শোনেনি। রাজ্য সরকার চাইত না যে সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হোক। বিজেপির প্রতিবাদ দেখে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।”

[আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে দাউদাউ আগুন! গুরুতর জখম শাহজাহান-সহ ৪]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement