ফাইল ছবি।
দুদিনের সফরে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন তিনি। আজ, শনিবার কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দেবেন মোদি। লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর থেকে কী বার্তা দেন মোদি, সেদিকে নজর সকলের। মোদির বঙ্গসফরের খুঁটিনাটি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
বেলা ১২.৪৫: কর্মসূচি শেষে গয়ার উদ্দেশে উড়ে গেলেন মোদি।
বেলা ১২.২০: সভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেন। সেখানে সন্দেশখালি-সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
শ্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং ডঃ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের সুশাসনের কর্মসূচী কীভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে যেসব @BJP4Bengal কার্যকর্তা লড়ছেন তাঁদের প্রত্যেকের সাহস, আবেগ ও… pic.twitter.com/rth2v6GGXK
— Narendra Modi (@narendramodi) March 2, 2024
বেলা ১২.০০: ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে এর প্রতিবাদে সরব রাজ্য। এবার পালটা দিলেন মোদি। দাবি করলেন, ২৫ লক্ষ ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই বাংলা জুড়ে পদ্ম ফোটানোর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। ৪২ এর ৪২ টি আসন দখলের ডাক দিলেন তিনি (Lok Sabha 2024)।
সকাল ১১. ৫২: কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ মোদির। বললেন, তৃণমূলের শাসনকালে কাঁদছে মা-মাটি মানুষ। সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে বললেন, মহিলারা দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছিলন। বিজেপির চাপে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সকাল ১১. ৪৮: মোদির কথায়, “তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতক, অত্যাচার, দুর্নীতি, পরিবারবাদ। তৃণমূল বাংলার মানুষকে গরিব করে রাখতে চায়, যাতে ওদের রাজনীতি, খেলা চলতে থাকে। এখানকার রাজ্য সরকার কী কাজ করছে? মোদি বাংলায় প্রথম AIIMS দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তা করেছেন। মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি। কল্যাণী AIIMS তৈরি হওয়ার রাজ্যের চিন্তা বেড়েছে, তাই প্রশ্ন করছে এর অনুমতি কে দিয়েছে। কারণ, কমিশন ছাড়া এরা অনুমতি দেয় না। তৃণমূলের তোলাবাজদের বাংলায় অনুমতি আছে, কিন্তু এতবড় হাসপাতালের পারমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”
সকাল ১১.৪৩: মাঠ ছোট হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যা হচ্ছে। তাই জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ভাষণ শুরু করলেন মোদি। বললেন, “আপনারা এত মানুষ এসেছেন, আপনাদের ভালোবাসায় এই মাঠ সভার জন্য ছোট হয়ে গিয়েছে।” সকলের কাছে শান্ত থাকার আর্জি জানালেন তিনি। শুভেন্দুর পর মোদির মুখে শোনা গেল কৃষ্ণনাম।
সকাল ১১.৩৪: মহুয়াকে বেনজির তোপ সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খায়। এসব শুনে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন। একজন সাংসদ এটা বলার পর কীভাবে কেউ চুপ থাকতে পারেন জানি না। এর পর তিনি মহুয়াকে বিঁধে আরও বলেন,” সাংসদ সামান্য পয়সা, লিপস্টিক, পারফিউমের লোভে নিজের লগ-ইন আইডি অন্যকে দিয়ে দেয়। মমতা এরপরও তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছে। ভাবছে বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট আছে বলে জিতে যাবে। এটা হবে না। ওই সাংসদ পবিত্র মাটিকে অপবিত্র করেছে।”
সকাল ১১.২৫: জনসভায় মোদিকে স্বাগত জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল কাঁসার স্মারক, চৈতন্যের ছবি।
সকাল ১১.১৫: সরকারি অনুষ্ঠান থেকে হুড খোলা গাড়িতে জনসভার পথে মোদি। পাশে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ও সুকান্তকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা রাজনৈতিক মহলে। অনেকেরই দাবি, দুজনের দ্বন্দ্ব চরমে। এসবের মাঝে একসঙ্গে দুজনকে নিয়ে অন্তর্কলহ সকলকে মেটানোর বার্তা দিলেন মোদি, এমনটাই দাবি ওয়াকিবহলমহলের।
সকাল ১১.০০: শিলান্যাসের পর মোদি বললেন, “আরামবাগ থেকে ৭ হাজার কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস করেছি। আজ ১৫ হাজার কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম মানুষের উন্নতিতে। বাংলার ভাইবোনের জীবনকে সহজ করবে এই প্রকল্প। এর ফলে রোজগারের নতুন পথও খুলে যাবে।” কৃষ্ণনগরের অনুষ্ঠানে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের কথা শোনা গেল মোদির মুখে। প্রকল্পের কথা ঘোষণার পর মোদি জানালেন বাকি যা বলার জনসভা থেকেই বলবেন তিনি।
সকাল ১০.৪০: কৃষ্ণনগরে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মোদি। মঞ্চে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ অন্যান্যরা। যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন মোদি, তা জানালেন শান্তনু ঠাকুর। মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি। তার মধ্যে আছে, ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ ৪ লেন রাস্তা, আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ নতুন রেললাইন, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট, রামপুরহাট-মুরারই থার্ড লাইন। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা করবেন মোদি।
সকাল ১০.২৮: কৃষ্ণনগর পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস শেষে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল আরামবাগের জনসভা খেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাশামতোই, দুর্নীতি ও সন্দেশখালির জোড়া ফলায় বিদ্ধ করেন মমতা সরকারকে। এবার কৃষ্ণনগরে সভা থেকে তৃণমূলের বি্রুদ্ধে কোন অস্ত্রে শান দেবেন প্রধানমন্ত্রী তা দেখার? একই সঙ্গে সিএএ আইন লাগু করা নিয়ে কী কোনও বার্তা দেবেন নমো, তাও দেখার।
সকাল ১০.০০: সাড়ে দশটায় কৃষ্ণনগরে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দশটা নাগাদ রেসকোর্স থেকে চপারে চেপে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ৯.৫০: রাজভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বেরিয়ে রেসকোর্সের পথে মোদি।
সকাল ৯.৩০: আর কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রীর সভা ও সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগরে মোদির সভাস্থলে জমায়েত শুরু করেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.