রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্চকে কেন্দ্র করে নাটকীয় পটপরিবর্তন। রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে সার্কিট বেঞ্চ উদ্ধোধনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করতে পারেন বলেও খবর। জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিকে, আটের দশকে রাজীব গান্ধীর পর জলপাইগুড়িতে দ্বিতীয়বার কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখবেন। তিনি নরেন্দ্র মোদি। মোদির জনসভা জলপাইগুড়ি শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার মাঠে। আর যখন মোদি উত্তরবঙ্গে আসছেন, তখন দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। যে ভোটে বিজেপির টার্গেট উত্তরবঙ্গের একাধিক আসন।
[ মাত্র ছ’মিনিট ভাষণ দিয়েই পালিয়েছেন, ঠাকুরনগরে মোদিকে কটাক্ষ জ্যোতিপ্রিয়র]
গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে দু’টি আসন দখল এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নরেন্দ্র মোদির দল। আবার আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটায় পঞ্চায়েতেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। বামেদের পিছনে ফেলে উত্তরবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসছে গেরুয়া শিবির। জলপাইগুড়ি তো বটেই, ময়নাগুড়িতে মোদিকে দিয়ে সভা করিয়ে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেও নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোই লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের। মোদি-ঝড় তুলে উত্তরবঙ্গে ভিত শক্ত করতে চায় বিজেপি। তিনটি লোকসভা কেন্দ্র জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকেই মূলত সমর্থকরা জমায়েত হবেন চূড়াভাণ্ডার ময়দানে। সভার মূল মঞ্চের পিছনেই ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির অনুষ্ঠানস্থলটি করা হয়েছে।
এদিকে, জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি সফরের আগে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করে দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্য। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের অভিযোগ, “তৎপরতার সঙ্গে রাজ্য সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। অথচ রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্র পুরো কাজ করছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আজকের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্কিট বেঞ্চ চালু নিয়ে কিছু ঘোষণাও রাখতে পারেন। সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে।
ঠাকুরনগরের সভার মতো ময়নাগুড়িতে মোদির সভায় যাতে ফের বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য এবার সতর্ক রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাই জনসমাগমের জন্য বিভিন্ন ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। লাগানো হয়েছে লোহার গ্রিল। মূল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং রাজ্যের বাছাই করা নেতারা। পাশের অপেক্ষাকৃত ছোট মঞ্চে থাকবেন রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। থাকছে ২৫০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও ১২ টি জায়ান্ট স্ক্রিন। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বাগডোগরায় নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ময়নাগুড়ি। প্রথমে তিনি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
[ ছাত্র থাকলেও শিক্ষক নেই বহু স্কুলে, ভোটের মুখে বদলি প্রায় ৫০০ প্রাইমারি টিচার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.