চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ কালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষে সোমবার স্বামীর মঙ্গল কামনায় আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী যশোদাবেন।
সোমবার বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি কল্যানেশ্বরী মন্দিরে ঢুকে পুজো দেন। মা কল্যাণেশ্বরী মন্দির ও সংলগ্ন শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা দেন ধানবাদের উদ্দেশে। কড়া পুলিশি প্রহরায় তিনি এদিন মন্দিরে আসেন। এসিপি পশ্চিম শান্তব্রত চন্দ, সালানপুর-কুলটি এই দুই থানার ওসি, চৌরঙ্গি কল্যাণেশ্বরী দুই ফাঁড়ির আইসি ও ধানবাদ ডিসি বিজয় কুমার-সহ নিরষা থানার ওসি ও মাইথন থানার আইসি পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন যশোদাবেনের সঙ্গে। তবে উল্লেখযোগ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদির স্ত্রী’র আসার খবর কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এদিন ছিল না।
কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও এদিন ধানবাদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিশু শিক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। সুন্দর সমাজ গড়তে প্রতিটি শিশুই যেন শিক্ষা পায় সেই আবেদনও রাখেন।
সোমবার কল্যাণেশ্বরী মন্দির চত্বরে রাজেশ প্রসাদ নুনিয়ার দোকান থেকে ২০১ টাকার পুজো সামগ্রী নিয়ে যশোদাবেন ঢুকে পড়েন মন্দিরে। মন্দিরের ভিতর পুরোহিত শুভঙ্কর দেওঘরিয়া ও বিল্টু মুখোপাধ্যায় তাঁকে পুজো করান। ১০১ টাকা দক্ষিণা দিয়ে যশোদাবেন মন্দির চত্বরে শিব মন্দিরে জল ঢালেন। কড়া পুলিশি প্রহরা ছিল। কোনও মিডিয়া পার্সেনকে তাঁর কাছাকাছি ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। যশোদাবেনের সঙ্গে এদিন ছিলেন তাঁর ভাই অশোক মোদি ও ব্যক্তিগত সচিব অনুজ শর্মা। তবে কল্যাণেশ্বরী মন্দির আসার আগে তিনি ধানবাদের বিটাহী রামরাজ মন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক টুল্লু মাহাতো ও স্ত্রী সাবিত্রীদেবী। মন্দিরে ঢোকার আগে স্থানীয়রা নরেন্দ্র মোদির জয়ধ্বনি দেন। শুধু তাই নয়, যশোদাবেন ‘স্বাগত ছে’ আওয়াজও তোলেন। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় তাঁর চোখেমুখে ছিল হাসিখুশি ভাব। মন্দিরে রাম সীতার পুজো দেন, আরতিও করেন।
কল্যাণেশ্বরীর পুরোহিত বিল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজোর সময় শিহরণ অনুভব করছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে আমি পুজো করাচ্ছি এই ভেবে।’ তিনি আরও জানান, অনেক ভিআইপিকে আমি মন্দিরে পুজো করিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীকেও আমি পুজো করিয়েছি। এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও আসেন। স্বামীর মঙ্গল কামনায় তিনি পুজো দিয়েছেন।
রবিবার সকালে হাওড়া-যোধপুর ট্রেনে করে তিনি ধানবাদে আসেন অখিল ভারতীয় সাহু বৈশ্য মহাসভার অনুষ্ঠানে। ধানবাদের হীরাপুর লেন্ডিং ক্লাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। তাদের তরফ থেকে পড়ুয়াদের কৃতী সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মূল অতিথি ছিলেন যশোদাবেন। তিনি গুজরাটি ভাষায় বলেন, “ঝাড়খণ্ডের নাম শুনলেই ভয়ংকর একটা জায়গা মনে হত। কিন্তু, এখানে এসে বুঝলাম আমার ধারণা ভুল। এখানকার লোক একেবারেই সেরকম নন। এখানে আসার পর মনে হয়েছে ধানবাদের লোক মনের দিক দিয়ে অনেক ধনবান।”
দেখুন সেই ভিডিও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.