সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটতে হয়েছিল। গত বছরের সেই ঘটনার উল্লেখ করে মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বালুরঘাটের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তাঁর খোঁচা, আদিবাসী মহিলারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওরা হেনস্তা করেছিল। এবারের ভোট বুঝিয়ে দেবে আদিবাসীরা তৃণমূলের দলদাস নয়।
প্রথম দফার ভোটের আগে উত্তরে জোড়া সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচনী প্রচার থেকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন মোদি। জনজাতিদের জন্য বিজেপি কী কী করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। বলেন, জনজাতি গৌরব দিবস পালন করছে বিজেপি। জনজাতি বাচ্চাদের জন্য স্কুল খুলেছে। এই বিজেপিই দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতি করেছে। এর পরই রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনজাতি কার্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ওরা ভাবছে সব সুবিধা দিচ্ছে মোদি। আর তৃণমূল জনজাতিদের বেঁধে রাখতে চাইছে।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তপন বিধানসভা জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের ছিলেন বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যান। সেখানে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। দণ্ডি কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়। পরে অবশ্য ওই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, জেলা সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার একবছর পর ভোটপ্রচারে এসে গর্জে উঠলেন মোদি। তাঁর দাবি, “এই বালুরঘাটে তিন মহিলা বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূলের লোক এসে আটকে দেয়। হেনস্তা করে।” চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মোদি বলেন, “এই নির্বাচন ওদের বুঝিয়ে দেবে, দলিত, বঞ্চিত জনজাতি তৃণমূলের দাস নয়, হবেও না। জনজাতি মহিলাদের অপদস্ত করা তৃণমূল নিজেই তার শিকার হবে।” এদিন মোদির ভাষণ শুনে রাজনৈতিক মহলের দাবি, বালুরঘাটে ভোটের আগে আদিবাসী আবেগ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.