দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ট্রেনের টিকিট, বোর্ডিং পাস, চায়ের কাপের পর ফের রেলের মাধ্যমে বিজেপির প্রচার করার অভিযোগ। এবার এরাজ্যেই। ট্রেনের গায়েই বিজেপির পোস্টার। আর তাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ এনডিএ শিবিরের একাধিক নেতার। সরকারি সম্পত্তিকে ভোটের কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে হুগলি জেলা তৃণমূল।
মূল ঘটনাটা কী? হুগলির বৈঁচি স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রায় ২০-২২ দিন ট্রেনটির একই জায়গায় দাঁড়িয়ে, কোনও নড়নচড়ন নেই। মনে করা হচ্ছে, এই ট্রেনটি কুম্ভ এক্সপ্রেস অথবা উপাসনা এক্সপ্রেস। কারণ, ট্রেনটির গায়ে লেখা রয়েছে, “চলো কুম্ভ চলে, মহাপর্ব কা হিসসা বানে।” ট্রেনটির গায়ে বেশ কিছু পোস্টার লাগানো আছে, যা লাগানো হয়েছিল গত ৩ মার্চ পাটনার গান্ধী ময়দানে বিজেপির সংকল্প যাত্রার প্রচারে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের। বেশ কিছুদিন আগে সেই সংকল্প ব়্যালি থাকলেও, এখনও পোস্টারগুলি রয়ে গিয়েছে।
এখানেই অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, ট্রেন সরকারি সম্পত্তি। স্টেশনটিও সরকারি জায়গা। অথচ, সেই সরকারি সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়েই ভোটপ্রচার করছে বিজেপি। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভয় পেয়েছেন, তাই সরকারি সম্পত্তিকে ভোটের প্রচারে কাজে লাগাচ্ছেন। আমরা এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলছেন, আগে ওই ট্রেনটি ভাড়া করা হয়েছিল। তাই পোস্টার লাগানো হয়েছে। এতে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু হয়নি।
রেলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচারে সাহায্য করার অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ম্যায় ভি চৌকিদার লেখা চায়ের কাপ নিয়ে তুলকালাম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। এমনকী রেলমন্ত্রককে নোটিসও পাঠায় নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশনের ধমক খেয়েও শিক্ষা নেয়নি গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.