সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA থেকে মহুয়া মৈত্র, কৃষ্ণনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই দুই ইস্যুতে কী বার্তা দেন মোদি সেদিকেই নজর ছিল সকলের। কিন্তু CAA প্রসঙ্গে একটি কথাও বললেন না প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জনসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে তুলোধোনা করলেও মৌন রইলেন নমো। তৃণমূলকে আক্রমণ করলেও কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদকে নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করলেন না মোদি।
শনিবার কৃষ্ণনগরের জনসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে প্রথম থেকে তাঁর নিশানায় ছিলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সুকান্ত বলেন, “এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খায়। এসব শুনে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন। একজন সাংসদ এটা বলার পর কীভাবে কেউ চুপ থাকতে পারেন জানি না।” এর পর টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে মহুয়াকে বিঁধে আরও বলেন, “একজন সাংসদ সামান্য পয়সা, লিপস্টিক, পারফিউমের লোভে নিজের লগ-ইন আইডি অন্যকে দিয়ে দেন। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরও মমতা তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছেন। উনি ভাবছেন, বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট আছে বলে জিতে যাবে। এটা হবে না। ওই সাংসদ পবিত্র মাটিকে অপবিত্র করেছে।” শুভেন্দুও আক্রমণ করেন মহুয়াকে। কিন্তু মোদির মুখে মহুয়া প্রসঙ্গে শোনা গেল না একটি শব্দও।
এদিকে নদিয়ার একটা অংশ মতুয়া অধ্যুষিত। ফলে সকলেরই ধারণা ছিল সিএএ নিয়ে কোনও বড় বার্তা দিতে পারেন মোদি। কারণ, বিজেপি নেতারা প্রায়ই সিএএ নিয়ে সরব হন। সম্প্রতি সিএএ লাগুর দিন ঘোষণা করেও পিছিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু কৃষ্ণনগরের সভায় সিএএ নিয়েও কোনও বার্তা দিলেন না মোদি। কেন? সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2024)। ঠিক কোন পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের রণকৌশল ঠিক করছে বিজেপি, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.