সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) যে একতার বার্তা দিয়েছিলেন তা যেন কেউ না ভোলে। বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) সমাবর্তনে এমনই আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিশ্বভারতীকে ‘দেশের গৌরব’ বলে উল্লেখ করার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের একের পর এক কবিতার আবৃত্তিও করলেন তিনি। পাশাপাশি বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জানিয়ে দিলেন, ”এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রেরণাস্থল বাংলা।”
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এদিন তিনি ভারচুয়াল ভাবেই যোগ দেন সমাবর্তনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক। সকলের সামনে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেন সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার জন্য। শুক্রবার ছত্রপতি শিবাজির জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের ‘শিবাজি উৎসব’ কবিতাটির কিছু অংশ আবৃত্তি করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন এই কবিতার মাধ্যমেও রবীন্দ্রনাথ দেশের একতার কথাই বলতে চেয়েছেন। পরে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানের পঙক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বাংলার জয়গানের পাশাপাশি কবিগুরু তাঁর লেখায় ‘ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’ দেশের পুণ্য তীর্থের উল্লেখ করেছেন।
ভারতবাসীকে বিশ্বভারতীর মতো এক প্রতিষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য এদিন রবীন্দ্রনাথের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”বিশ্বভারতীয় কেবল একটি প্রতিষ্ঠানমাত্র নয়। তা এক অনন্য প্রয়াস।” প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই এমন ভাবনা থেকেই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
সেই সঙ্গে দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর বিশ্বাসের কথাও বলেন তিনি। তাঁর মতে, দেশের ভবিষ্যতকে বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে দেশের যুবশক্তির। তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ”আপনাদের কেবল সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা সমস্যার সমাধান করতে চান নাকি সেটার অংশ হয়েই থাকতে চান।” তাঁর বক্তব্যে তিনি আরও জানান, সাফল্য-অসাফল্য ভবিষ্যৎকে নির্মাণ করে না। সিদ্ধান্ত নিতে কখনও ভয় পাওয়া উচিত নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.