রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ছাড়াই ঠাকুরনগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বিজেপি নেতা হিসাবে দলীয় প্রচার করতে সেখানে আসবেন না তিনি৷ বরং আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের আমন্ত্রণে ঠাকুরনগরে হাজির হবেন নরেন্দ্র মোদি৷ সংঘের তরফে তাঁকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা৷ ওই সভায় বিজেপি নেতাদের কেউ হাজির থাকবেন কিনা, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে ধন্দ৷ যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিজেপির নেতারা হাজির থাকবেন উক্ত সভাতে৷
[বিমার টাকা হাতাতে যুবক খুন, যাবজ্জীবন সাজা একই পরিবারের তিনজনের ]
প্রধানমন্ত্রী সভা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যাঁরা নাগরিকত্বের সম্মান পাননি। নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নাগরিকত্বের সম্মান দিয়েছেন। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর কোনও প্রধানমন্ত্রী প্রথম উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন। সে কারণে মতুয়া সমাজ ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাবে।” সভামঞ্চে বিজেপির কোনও পতাকা থাকছে না বলেও জানিয়েদেন দিলীপ ঘোষ। তবে এলাকায়, রাস্তার দু’ধারে বিজেপির পতাকা, ব্যানার ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কাট-আউট থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ওই সভায় বিজেপি নেতৃত্বের হাজিরা ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধন্দ৷ যদিও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরা সভাতে উপস্থিত থাকবেন।
[একশো দিনের কাজে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি, অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান]
প্রসঙ্গত, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ ঘিরে তৈরি হয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব৷ এই সভার জন্য মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির দেবোত্তর সম্পত্তির অংশ শ্রীধাম ময়দানকে নির্বাচিত করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেন, মাঠটি সংকীর্তনের জন্য আগে থেকেই বুক রয়েছে। পাশাপাশি, এই মতুয়া ভোট ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে৷ ফলে বিজেপিকে তাঁরাও পালটা হুঁশিয়ারি দেয়৷ তৃণমূলের অন্দরের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমর্থকরা৷ এমতো পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরের সভাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক চর্চা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.