প্রতীকী ছবি
সুরজিৎ দেব: মদের আসরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের ছক করা হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়ার কথাও হয়। সেই ঘটনায় আগেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার মূল অভিযুক্তকেও পাকড়াও করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। জানা গিয়েছে, পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোপাল সাহাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল।
ঘটনাটি ১৪ ফেব্রুয়ারির। সেদিন মদের আসরে ছিলেন মনোজ বোস ও সঞ্জয় ঘোষ নামে দুই ব্যক্তি। তাঁরাও ওই এলাকারই বাসিন্দা। সেখানেই মনোজ বোস ওরফে অ্যালায়েন্স পাপ্পু কাউকে ফোনে তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের জন্য সুপারি দেন। খুনের জন্য ৫ লক্ষ টাকাও দেওয়ার কথাও হয়েছিল। পরের দিন সেই সুপারির কথা এক ব্যক্তি কাউন্সিলরদের অনুগামীদের কাছে জানিয়ে দেন। সেই কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অনুগামীরা চড়াও হয় মনোজ বোসের বাড়িতে। এদিকে সেই কথা আগেই জেনে ফেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্য জায়গায় গা ঢাকা দেন মনোজ। মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই সঞ্জয় ঘোষ ওরফে ভুলো নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরের দিন আলিপুর কোর্টে পাঠালে তাঁকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ধৃতকে ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। মনোজের খোঁজেও শুরু হয় তল্লাশি। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, হাওড়ার বাগনানের পিসির বাড়িতে তিনি লুকিয়ে আছেন। তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছে গ্রেপ্তার করেন মূল অভিযুক্ত মনোজকে। গতকাল ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু কেন কাউন্সিলরকে খুনের চক্রান্ত করা হল? কাকেই বা খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল? পাঁচ লক্ষ টাকাও কি তাঁকে কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে? সেসব প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ধৃতদের থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে।
কাউন্সিলরের সঙ্গে এই বিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন “বিষয়টি পুলিশ দেখছে। যা বলার পুলিশ বলবে।” ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.