রঞ্জন মহাপাত্র: ফের প্লাস্টিক ডিমের আতঙ্ক, এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পাতন্দা গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের ডিম বাড়িতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ডিম সেদ্ধ করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। আর পাঁচটা সেদ্ধ ডিমের থেকে পুরো অন্যরকম দেখতে। এই অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেই ডিম নিয়ে স্কুলে চলে আসেন ওই পড়ুয়ার অভিভাবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিক্ষোভ। অন্যান্য অভিভাবকরাও ভিড় করেন। মিড ডে মিলে শিশুদের প্লাস্টিক ডিম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গোটা ঘটনার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তোলেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই ঘটেছে এটা। মিড ডে মিল দেওয়ার নাম করে শিশুদের অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। এরপরই কোন দোকান খেকে ডিম কেনা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। যদিও দোকানের নাম বলতে পারেননি কর্তব্যরত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মঞ্জুশ্রীদেবী। তাঁকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ডিম কিনলেও কখনও চালান বা ক্যাশমেমো নেওয়া হয়নি। তবে এবার নতুন দোকান থেকে ডিম কিনেছেন। তাই দোকানের নামও মনে করতে পারছেন না। কেন তিনি মিড ডে মিলের মুদি বাজার করে দোকানের থেকে কেনাকাটার প্রমাণ স্বরূপ চালান নেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। চিন্তিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত হবে। ডিমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার পরীক্ষা করা হবে। তাহলেই বেরবে আসল তথ্য।
অন্যদিকে ছেলে মেয়েদের অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার অভিযোগে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, আগেও একবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখন সয়াবিনের তরকারিতে পোকা ছিল। এবার প্লাস্টিকের ডিম। এভাবে চলতে থাকলে শিশুদের শরীর খারাব হতে থাকবে। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে তাঁর ভয় পাচ্ছেন। এবং এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.