শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বিহার (Bihar) থেকে বাংলায় ঢোকার পথে ফের গরুবোঝাই গাড়ি আটক। ধানবাদের কাছে ৬টি গাড়ি আটক করা হয়। ছয় চালককে আটক করা হয়েছে। পাশপাশি আসানসোলেও গরুবোঝাই গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতার মাঝেই বাংলার সীমানায় একের পর এক গরুবোঝাই গাড়ি আটক হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছেন, ভিন রাজ্য থেকে গরু কিনে বাংলাকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে তা পাচার করা হয়। বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সরব হয়েছেম তিনি। একের পর এক গরুবোঝাই গাড়ি ধরা পড়ায় তাঁর সেই অভিযোগে সিলমোহর পড়ছে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার ধানবাদে ধরা পড়ে গরুবোঝাই পিকআপ ভ্যান। গ্রামবাসীরা ১২টি গরুবোঝাই পিকআপ ভ্যান ধাওয়া করে ৬টি পিকআপ ভ্যানকে ধরে ফেলে। পালিয়ে যায় বাকি ৬টি। ছয় চালককে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিহারের ছাপরার পশু মেলা থেকে গরু বোঝাই করে পিকআপ ভ্যানগুলির বাংলায় ঢোকার কথা। তার আগেই ধানবাদের সোনারডিহিতে ভ্যানগুলি ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। ভ্যানগুলি আটক করে গ্রামবাসীরা ধানবাদের ধর্মাবাঁধ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় তারা।
পুলিশ তদন্ত করে দেখে, পশুহাট থেকে গরুগুলি কেনা হয়েছে। তার রসিদ রয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, রসিদের সঙ্গে গরুর সংখ্যায় গরমিল রয়েছে। গাড়িতে দু’টি বা তিনটি করে গরু নিয়ে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও ৬টি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অর্থাৎ মোট ৩৬টি গরুর মধ্যে ১৮ টি অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত একমাস ধরে ধানবাদ, বারবাড্ডা ও মাইথন থানা এলাকায় গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান ধরা পড়ছে। বাংলা ঢোকার আগেই ধরছে পুলিশ বা স্থানীয়রা। এদিনও একই ঘটনা ঘটল। অন্যদিকে, কাল্লা মোড়ে দু’নম্বর জাতীয় সড়কে গরু বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ওই পিকআপ ভ্যানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়লে পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.