শ্রীষিতা ঘোষ: শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার অন্তর্ভূক্তি উচ্চপ্রাথমিকে!
উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগবিধিতে পরিবর্তন এনে এই দু’টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পৃথক নিয়োগবিধি তৈরি করা হয়েছে৷ ওই পরীক্ষার্থীদের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ বসতে হবে না৷ তাঁদের জন্য পৃথক পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রার্থীরা লিখিত বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দেবেন৷ শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে৷ কমিশনের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানান, “আপাতত টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে৷ তার পর বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ পরীক্ষার দিন জানানো হবে৷”
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-র নিয়ম অনুযায়ী, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে আর শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিষয়দু’টি রাখা হচ্ছে না৷ পরিবর্তে তা উচ্চপ্রাথমিকে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ তবে এই বিষয়দু’টির জন্য টেট দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ কমিশন পৃথকভাবে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করবে৷ এ বছর থেকেই উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের তিনটি পৃথক নিয়োগবিধি কার্যকর করেছে কমিশন৷ তবে শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, ২০১৫ সালে উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগবিধিতে বিষয়দু’টি তুলে দেওয়া হয়েছিল৷ ওই বছরই নিয়োগবিধিতে সংশোধনী আনা হয়৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও বিষয়দু’টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি৷ পরে শিক্ষকদের চাপে তা ফেরানো হচ্ছে৷ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য-সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই অবৈজ্ঞানিক ছিল৷ আমরা বিষয়দু’টি ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলাম৷ সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.