রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। চরম ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে। আর ব্যস্ততার মাঝেই কুমোরটুলিতে ভিড় জমাচ্ছে জেন-ওয়াই। সেই সঙ্গে মাঠের পাশে কাশের বনেও দেখা যাচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। তবে হ্যাঁ বরাবরের থেকে কিছুটা অন্য সাজে। কারণ, পুজোর আগে কুমোরটুলি অথবা কাশবনে ফটোশুট এখন ট্রেন্ড। আর এতেই ব্যবসা বাড়ছে চিত্রগ্রাহকদের।
সকলের নজর কাড়ার অদৃশ্য লড়াইয়ে জেন-ওয়াইয়ের হাতিয়ার ক্যামেরা। তাই অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতোই প্রাকপুজোয়ও চিত্রগ্রাহকদের চাহিদা আকাশছোঁয়া। স্বাভাবিকভাবেই অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে বুকিং। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা, সব জায়গাতেই শুরু হয়েছে আগমনি ফটোশুট। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে উপার্জনের পথ খুঁজে নিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের দুই হাজারে বেশি যুবক। ফটোগ্রাফিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। কলেজ ছাত্রী থেকে শুরু করে টিন-এজার মেয়েরা শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক, কমেন্টের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে গাঁটের কড়ি খরচ করে বিভিন্ন সাজে বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলছেন। সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল সাইটে।
এ প্রসঙ্গে পেশাদার ফটোগ্রাফার কৌশিক দাস, শুভব্রত হালদার, সঞ্জীব শর্মা বলেন, “এখন থেকেই আগমনি শুটের বুকিং পেতে শুরু করেছি। তরুণী বা টিন-এজাররাই মূলত রয়েছে ছবি তোলার দৌড়ে। আবার কোনও কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও তাঁদের বিজ্ঞাপনের জন্য মোটা টাকা ব্যয় করছে ফটোশুটের জন্য। ফলে ১ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হচ্ছে একটি ফটোশুটেই।” জেন-ওয়ারেই কথায়, “দুর্গাপুজোর জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি। প্রতিমা দর্শন তো রয়েছেই। তার পাশাপাশি যদিও পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে থাকা কুমোরটুলি আর কাশবনে কিছু স্মৃতি জমানো যায়, মন্দ কী?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.