সংগ্রাম সিংহরায় ও রাজকুমার: ‘ফেতাই’-এর জেরে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু এর রেশ পৌঁছে গিয়েছে সুদূর ডুয়ার্সে। সোমবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শিলিগুড়িতে এই বৃষ্টির জেরে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডায় কাঁপছে আলিপুরদুয়ারও। আর হিমালয়ের কোলের শহরগুলি তো ঢেকে গিয়েছে বরফে। টাইগার হিল আর সান্দাকফু ইতিমধ্যেই বরফের চাদরে মুড়তে শুরু করে দিয়েছে। তুষারপাত হচ্ছে দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায়।
ডিসেম্বরের শুরুতে কামড় বসাতে শুরু করেছিল উত্তুরে হাওয়া। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ডানা মেলবে শীত। কিন্তু তার যাত্রাপথ আটকে দিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফেতাই’। এমনিতে অক্টোবর থেকে নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির মরশুম। কিন্তু এবছর ‘ফেতাই’ এল কিছুদিন পর। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়। বাংলাকে সে তার করাল গ্রাস থেকে রেহাই দিলেও তার লেজের ঝাপটায় বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গও। বর্ষার আমেজে ফিরে এল শীত। নামছে তাপমাত্রার পারদ। এই বছরে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা এই প্রথম অনুভব করছে ডুয়ার্সবাসী।
[ নাতিকে দেশে ফেরাতে দোরে দোরে ঘুরছেন ওপার বাংলার দিদিমা ]
তবে এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দাবি করতে পারে ‘ফেতাই’। গতকাল রাত থেকে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার-সহ একাধিক জেলায় চলছে অবিরাম বর্ষণ। উষ্ণতার খোঁজে বিভিন্ন ফাঁকা স্থানে আগুন তাপাতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। আবার কোনোভাবে শরীরে যাতে ঠান্ডা ঢুকতে না পারে তার জন্য গরম জামাকাপড়ে নিজেদের মুড়ে রাস্তা দিয়ে চলতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান। কাজের জন্যে যারা বেরিয়েছেন তাঁরা মাথায় ছাতা ও গায়ে রেইনকোর্ট চাপিয়ে বেরিয়েছেন। চায়ের দোকানেও উপচে পড়েছে ভিড়। শরীর যাতে কোনওভাবে গরম রাখা যায়।
তবে ‘ফেতাই’-এর আমেজ কেটে গেলে শীত যে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়বে, তার আভাস দিতে শুরু করেছে থিম্ফু। মরশুমের প্রথম তুষারপাতে ঢেকে গিয়েছে ভুটানের রাজধানী। রাস্তাঘাট বরফের চাদরে ঢেকে যাওয়ায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বোঝাই যাচ্ছে বৃষ্টি থেমে গেলেও কাঁপুনি থামবে না উত্তরবঙ্গবাসীর। পৌষের দ্বিতীয় দিনে ঠান্ডার আমেজ বৃষ্টি দিলেও উত্তুরে হাওয়া ওঁত পেতে অপেক্ষা করছে। বৃষ্টি থামলেই ঢুকে পড়বে বাংলায়।
[ প্রকল্পের ছাড়পত্র পায়নি সোলারিস কর্তৃপক্ষ, তবুও ফর্ম বিক্রি শুরু ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.