জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অবশেষে মিটল চাপানউতোর। দু-একদিনের মধ্যেই পেট্রাপোল দিয়ে শুরু হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য। বৃহস্পতিবার পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু করার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জিরো পয়েন্টে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রশাসনিক নির্দেশ এলেই তাঁরা বাণিজ্যের কাজ শুরু করতে পারবেন। শনিবার বেশ কিছু সতর্কতা মেনে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিল রাজ্য। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র পলেই শুরু হয়ে যাবে সীমান্ত বাণিজ্য।
শনিবার বিকেলে জেলাশাসক আমদানি রপ্তানির বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি ম্যানেজারের কাছে। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং করোনা প্রতিরোধের অন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে বাণিজ্য শুরুর কথা বলেন তিনি৷ এর ফলে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ব্যাপারে রাজ্যের তরফে অনুমতি পাওয়া গেল। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিললেই শুরু হবে বাণিজ্য। শোনা যাচ্ছে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে আমদানি রপ্তানি।
সূত্রের খবর, লকডাউনের পর পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেট্রাপোল দিয়ে ব্যবসা চালু করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা৷ এরপর কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু করার বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানেও জিরো পয়েন্টে পণ্য খালি করার প্রস্তাব উঠে। এরপর পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় পণ্য রপ্তানির কাজ। বন্দরের জিরো পয়েন্টে ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ হয়। কিন্তু বাণিজ্যের স্বার্থে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এদেশে ঢুকছেন, তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। এই যুক্তি দেখিয়ে পেট্রাপোলের সাধারণ ব্যবসায়ীরাই তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলন শুরু করেন ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তায় বেঞ্চ পেতে বসে পড়েন তাঁরা। বন্ধ হয় বাণিজ্য। তবে এবার সম্ভবত সেই জট কাটতে চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.