নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: ট্রেনের জানালা থেকে কেউ পাঁচশো টাকার নোট বাইরে ফেলতে ফেলতে যাচ্ছেন আর তা কুড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন মানুষ৷ না এটা কোনও সিনেমার শুটিংয়ের দৃশ্য নয়৷ বাস্তবে এটাই ঘটেছে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে৷
কেউ দু’টো পাঁচশো টাকার নোট পেয়েছেন তো কেউ আবার এক গোছা নোট পকেটে পুরে চম্পট দিয়েছেন৷ কেউ আবার সেখান থেকেই সোজা ছুটে চলে গিয়েছেন ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে৷ প্রকাশ্য দিবালোকে নজিরবিহীন এই ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছিল পুলিশ প্রশাসনও৷ ঘটনার প্রমাণ হিসাবে কোনও ছবি বা ভিডিও ফুটেজ ছিল না কিন্তু টাকা কুড়াতে আসা মানুষের ভিড় সামাল দিতে হাজির হতে হয়েছিল পুলিশকেও৷
ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর ও শালবনি স্টেশনের মাঝে কুতুরিয়া লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে৷ মেদিনীপুর স্টেশন থেকে আদ্রার উদ্দেশে বেরিয়ে যাওয়া আরণ্যক এক্সপ্রেস থেকে এদিন বাতিল পাঁচশো টাকার নোট ছড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা৷ ট্রেনটি আসে শালিমার থেকে৷ যায় আদ্রা পেরিয়ে ভোজিডি স্টেশন পর্যন্ত৷ মেদিনীপুর স্টেশন ম্যানেজার অমরিন্দর কুমার জানিয়েছেন, এদিন আরণ্যক এক্সপ্রেস সঠিক সময়ে বেলা ১০ টা ১৪ মিনিটেই স্টেশনে পৌঁছয়৷ ট্রেনে এই ঘটনার কথা অনেক পরে শুনেছেন৷ জানা গিয়েছে যে ওই ট্রেনটি যখন মেদিনীপুর স্টেশন ছেড়ে শালবনির দিকে এগিয়েছে তখনই পাঁচ ছয় কিলোমিটার পরে কুতুরিয়া লেভেল ক্রসিংয়ের কাছ থেকে কোনও যাত্রী ট্রেনের জানালা থেকে বাতিল পাঁচশো টাকার নোট ফেলতে ফেলতে যান৷ দু-তিন কিলোমিটার দূর ভাদুতলা হল্ট স্টেশন পর্যন্ত নোট ছড়াতে ছড়াতে গিয়েছিলেন তিনি৷
স্থানীয় কুতুরিয়া লেভেল ক্রসিংয়ের গেটকিপার রামচন্দ্র হেমব্রমও অনেক গ্রামবাসীর হাতেই পাঁচশো টাকার একাধিক নোট দেখেছেন৷ মুহূর্তের মধ্যেই সেগুলি সাফাই হয়ে যায়৷ মুখে মুখে খবর চাউর হয়ে যেতেই নোট কুড়ানোর জন্য সেখানে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের মানুষজনও৷ ততক্ষণে অবশ্য সাবাড় হয়ে গিয়েছে সব নোট৷ কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে চলে গিয়েছেন অ্যাকাউন্টে নোট জমা দিতে৷ শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিত্ সাহা জানান, কে টাকা ফেলেছেন, কেন ফেলেছেন, ঠিক কত টাকা ফেলেছেন, কারা কারা তা কুড়িয়েছেন সেসব অধরা থেকে গিয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছেও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.