রাজা দাস, বালুরঘাট: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি ও কঠোর শাস্তির দাবি তুললেন গ্রামবাসীরা। থানা ঘেরাও করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেন তাঁরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল গঙ্গারামপুরে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। ওইদিন গঙ্গারামপুর থানার জাহাঙ্গীরপুরের বাগানবাড়ি এলাকায় পুনর্ভবা নদীর ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্ষণ
করে খুন করা হয়েছে ওই যুবতীকে। এই ঘটনার তিনদিন পর ওই যুবতীর পরিবার দেহ শনাক্ত করে। জানা যায়, মৃত যুবতীর নাম জবা রায়(২০)। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার সিংফরকা গ্রামে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে গঙ্গারামপুর থানায়। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গঙ্গারামপুরে। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। তারপর গঙ্গারামপুর-তপন রুটে রাস্তা অবরোধও করেন। এইসময় তাঁদের রোষের মুখে ভাঙচুর হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের একটি গাড়ি। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় র্যাফ-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রাজবংশী জন জাগরণ চেতনা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বর্মণ জানান, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সবাই গঙ্গারামপুর শহরে মিছিল করে এসে থানা ঘেরাও করেন। গঙ্গারামপুর থানার ওসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু জানান, গ্রামবাসীরা কিছু দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। একটু উত্তেজনা দেখা দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে আজ দুপুরেই মৃত যুবতীর বাড়িতে যান বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে দেখা সেখানে ভিড় জমান ওই এলাকার কয়েকশো মানুষ। সবরকমভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। পরে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জঘন্যতম এই ঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আমরা অনড়। পরিবারকে সহায়তা করার পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের উপর চাপ রাখা হচ্ছে। অন্য সব ক্ষেত্রেও ওনাদের পাশে থাকা হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.