সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ধমানে জেপি নাড্ডার শক্তি প্রদর্শনের পালটা রোড শো থেকে রবিবার গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন টলিউড অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে হুঙ্কার দেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশেই আছেন।
শনিবারই বাংলায় একদিনের সফরে এসে বর্ধমানে রোড শো করেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন তারই পালটা মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। টাউনহল থেকে গোলাপবাগ পর্যন্ত রোড শোয়ের মুখ ছিলেন সোহম। জনতার ঢল লক্ষ্য করা যায় সেই মিছিলে। আর সেখান থেকেই তিনি হুঙ্কার দেন, “এই রোড শোয়ের জনসমাগমই বিজেপিকে জবাব দিয়ে দিল। গেরুয়া শিবিরের গর্ত খুঁড়ে ফেলল।” এরপরই কৃষক আইন নিয়ে কেন্দ্রের সরকারকে বিঁধে মন্তব্য করেন সোহম। জানিয়ে দেন, “বাংলার তৃণমূল সরকার সর্বদা কৃষকদের কথা ভেবেছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষক বিরোধী কোনও আইন আমরা মানব না।”
বিজেপিকে বারবার ‘বহিরাগত’ অস্ত্রে বিদ্ধ করছে তৃণমূল। কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ- প্রত্যেককেই ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়েছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। সোহমের গলাতেও এদিন উঠে আসে ‘বহিরাগত’ প্রসঙ্গ। শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন নাড্ডা। বলেন, এ রাজ্যে বর্তমানে যেভাবে কাটমানি, তোলাবাজি-সহ নানা দুর্নীতি চলছে, তা বাংলার সংস্কৃতি নয়। সেই মন্তব্যেরই পালটা দেন সোহম (Soham Chakraborty)। বলে দেন, বাংলার সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রাজ্যের মানুষ খুব ভালভাবে জানেন ও বোঝেন। যাঁরা বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, তাঁরাই বহিরাগত।
উল্লেখ্য, এদিন রোড শো শুরুর আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বর্ধমানের (Burdwan) বামচাঁদাইপুরে। তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা, পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয় বিজেপিকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শক্তিগড় থানার পুলিশ ও র্যাফ। যদিও নির্বিঘ্নেই রোড শো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.