নিজস্ব সংবাদদাতা: কৃষি আন্দোলনের ঐতিহাসিক জয়ের পর অন্যরকম বিশ্বকর্মা পুজো দেখল সিঙ্গুর৷ ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠলেন সিঙ্গুরবাসী৷ আকাশ ছেয়ে গেল ঘুড়িতে৷ আর সেই ঘুড়িতেই দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ৷
কোথাও দেখা যায় ইচ্ছুকদের পরচা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, কোথাও অনিচ্ছুকদের চেক বিলি করছেন৷ আবার কোথাও চোখে পড়ল সিঙ্গুরবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তিনি৷ পেটকাটি বা চাঁদিয়াল নয় এবার সিঙ্গুরের আকাশেজুড়ে উড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ঘুড়ি৷ গত তিন দিন ধরে হাজার হাজার খবরের কাগজ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেটে ঘুড়ির মধ্যে বসানো হয়৷ প্রাক শারদীয়া এই উৎসবে তাঁর ছবি দেওয়া ঘুড়ি উড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের কৃতজ্ঞতা পৌঁছে দিলেন সিঙ্গুরবাসী৷
আগের বছর পর্যন্ত এই দিনে কার্যত অন্ধকারেই ছিল সিঙ্গুর৷ এবছর কেটেছে সেই অন্ধকার৷ সিঙ্গুরে নতুন সূর্য উঠেছে৷ নতুন সূর্যের নতুন ভোরে অজস্র ঘুড়ি স্বাগত জানিয়েছে সিঙ্গুরের জয়কে৷ সিঙ্গুরের এক গৃহবধূ বলেন, “কয়েক বছর ধরে সিঙ্গুরে এত আনন্দ দেখতে পাওয়া যায়নি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জমি ফিরিয়ে দিতে লড়াই করেছেন৷ আজ তার জন্যই হাসি ফুটেছে সিঙ্গুরের মানুষের মুখে৷ তাই ঘুড়িতে ছবি বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে সবাই৷”
ঘুড়ির উৎসবের সঙ্গে তোড়জোড় চলেছে দুর্গাপুজোরও৷ সিঙ্গুরের সবচেয়ে বড় পুজো হয় বেড়াবেড়ি পূর্বপাড়া শীতলামাতা শক্তিসংঘে৷ ২০০৬ সালে জমি অধিগ্রহণের পর থেকে আট বছর বন্ধ ছিল এই পুজোটি৷ ২০১৫ সালে ছোট মূর্তি দিয়ে দেবীর আরাধনা হয়৷ তবে এবছর আবার পুরনো ছন্দে ফিরবে এই পুজো৷ গ্রামবাসীরা জানান, এবার দুর্গাপুজোর চারদিন সমস্ত পরিবারে অরন্ধন থাকবে৷ চারদিনই গ্রামের মানুষ বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে অন্নগ্রহণ করবেন৷ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক ভেদাভেদ মুছে দিয়ে প্রত্যেককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ আর এই আন্দোলন যার জন্য স্বার্থক হল, তাঁকে বাদ দিয়ে দিয়ে কী ভাবা যায়! তাই দুর্গাপুজোয় একদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সিঙ্গুরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চান এলাকার মানুষ৷ এলাকার মানুষের বক্তব্য, দুঃখের দিনে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সঙ্গে ছিলেন, উৎসবেও তাঁকে একইভাবে পাশে পেতে চান তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.