ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: ফের বিমল গুরুংয়ের খোঁজে সিকিমে অভিযান পুলিশ ও সিআইডির। বিতর্ক এড়াতে সিআইডির তরফে আগেভাগে দক্ষিণ সিকিমের এসপির কাছে চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশের তৎপরতার মধ্যে বনধ সরিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে পাহাড়।
[প্রয়াত সুলতানের নামে সিবিআইয়ের নোটিস, ক্ষুব্ধ মমতা]
প্রশাসন পাশে। এই বার্তা পেয়ে বনধের ৮৩ দিনের মাথায় সচল হল পাহাড়ের একাংশ। বনধ ভাঙতে মিরিকে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ। মিরিকের পুরপ্রধান লালবাহাদুর রাইয়ের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল হয়। সাদা পতাকা নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মিরিকে দাপিয়ে বেড়ান। মোর্চা যেসব জায়গায় পোস্টার দিয়েছিল তার পাশেই শান্তিকামী মানুষ পোস্টার আটকান। তাতে লেখা হয়- বনধ নয় উন্নয়ন চাই। সাধারণ মানুষের বদলে যাওয়া মেজাজ দেখে মিরিকে বেশ কিছু দোকান খুলেছে। পুরসভায় কাজ হয়েছে। মিরিকবাসী এবং তৃণমূলের এই শরীরী ভাষায় এদিন মিরিক বাজারে মোর্চার পার্টি অফিসে তালা পড়ে যায়। মিরিক শহরের বাইরে টিনলিং এবং সৌরিনীতে মোর্চা মিছিল করলেও তেমন লোক হয়নি। এমনকী মিরিক-শিলিগুড়ি রাস্তার কোথাও মোর্চা সমর্থকদের পিকেটিং চোখে পড়েনি। গাড়িধুরা এবং পানিঘাটায় বাজার খোলে। বনধের পর এই প্রথম পানিঘাটা থেকে ছাড়ে স্কুলবাস। এদিন পুলিশ প্রহরায় এনবিএসটিসির বাসটি ছাড়ে। পাহাড়ের বাসিন্দাদের একাংশের মতে ভিতরে ভিতরে মানুষ চাইছে বনধ উঠুক।
মিরিকবাসীর এই বদলে যাওয়া মেজাজে মোর্চা শিবির কিছুটা দিশেহারা। এদিন বিমল গুরুংয়ের মাথাব্যথা বাড়িয়ে বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা অনীত থাপা সুর চড়িয়েছেন। মঙ্গলবার কার্শিয়ংয়ে জনসভার ডাক দিয়েছেন তিনি। ওই সভা থেকে মোর্চা নেতাদের দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের হুমকি দিয়েছেন অনীত। বিনয় তামাং ঘনিষ্ঠ এই নেতা কী গোপন কেচ্ছা সামনে আনেন তা নিয়ে পাহাড়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের এই বদলাতে থাকা পরিবেশ দেখে শাসক শিবিরের গলার জোর বেড়েছে। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়ার বক্তব্য, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরছে। তাদের সাহস জোগানোর কাজ করবে প্রশাসন। মিরিক, কার্শিয়ংয়ের মানুষ পথে নেমেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে এর মধ্যে পাহাড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসা জারি রয়েছে। লেবংয়ে বেশ কিছু জিলেটেন স্টিক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।
[আরও কোণঠাসা মুকুল রায়, হারালেন গুরুত্বপূর্ণ পদ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.