সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খনি এলাকায় হায়নার উপস্থিতি। আর তা ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক পশ্চিম বর্ধমানের (West Bardwan) পাণ্ডবেশ্বরের ইসিএলের খনি এলাকায়। খবর পেয়ে হায়নার উপর নজরদারি বাড়িয়েছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। ফাঁদে ফেলে হিংস্র চারপেয়েকে ধরে জঙ্গলে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বরে ইসিএলের (ECL) সোনপুর বাজারি প্রজেক্ট। সেই এলাকাতেই এবার হায়নার আতঙ্ক। লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর (Wild Animal) অবাধ বিচরণে স্বভাবতই এলাকার ভয়ের পরিবেশ। সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বরে সোনপুর বাজারি খোলামুখ খনি চত্বরে তাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। খোলা মুখ খনির পাহাড়-প্রমাণ মাটি, পাথর দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। এরপর এলাকা পরিষ্কার না হওয়ায় সেখানে গভীর জঙ্গল তৈরি হয়েছে। আর সেই জঙ্গলেই ঘাঁটি গেড়েছে হিংস্র হায়না।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি হায়নার ছবি নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে কৌতূহল এবং প্রবল আতঙ্ক। যেখানে হায়নাটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে সেই খোলামুখ খনির এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী রামনারায়ণ সিং জানান, “হায়না হিংস্র জন্তু। তাই এখানকার কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। বিশেষ করে রাতের শিফটে ডিউটি করার সময় কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অজানা ভয় রয়েই গেছে।”
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ জানান, “জন্তু বা মানুষ কারও যাতে ক্ষতি না হয় তাই বিষয়টি বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। জন্তুটিকে দেখতে পাওয়া গেলে দ্রুত বনদপ্তরে খবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বাসিন্দাদের।” লাউদোহা রেঞ্জের বনদপ্তরের আধিকারিক সুদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ওই বন্য জন্তুটিকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বন্য পশু হলেও হায়না মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। ওরা ভীতু। লোকালয়ে আসে না সাধারণত। দিনের আলোয় বের হয় না।” স্থানীয় সূত্রে, এই রকম খবর পাওয়ার পর থেকেই হায়নাটির উপর বনদপ্তরের কর্মীরা নজর রাখছে বলে জানান তিনি। ফাঁদে ফেলে ধরার পর হায়নাটিকে নিরাপদ জঙ্গলে ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.