সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আসানসোলে (Asansol) বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাতেও কম্বল বিতরণের মত কর্মসূচি থেকে পিছু হঠছে না বিজেপি। সোমবার বর্ধমানের মির্জাপুরে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করল বিজেপি। যদিও সেখানে কম্বল নিতে যাঁরা হাজির হয়েছিলেন তার থেকে মঞ্চে নেতানেত্রীরা সংখ্যা ছিল বেশি। পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির বুথ বা অঞ্চল স্তরে জনভিত্তি যে তলানিতে তা এদিনের কর্মসূচিই প্রমাণ করছে বলে কটাক্ষ করছে তৃণমূল।
আসানসোলের কর্মসূচিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) হাজির ছিলেন। তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার মির্জাপুরের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর কলিগ্রামে শুভেন্দুর অধিকারীর যে সভা হবে তা সফল করার ডাক দিয়ে। বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ৩২ নম্বর জেলা পরিষদের মির্জাপুর গ্রামে এই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তনয় মণ্ডল, জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীররঞ্জন সাউ, যুব মোর্চার জেলা সম্পাদক কৌশিক কুণ্ডু, ৩২ নম্বর জেডপি-র সভানেত্রী মমতা রাজমল্ল প্রমুখ। কম্বল বিতরণের জন্য মঞ্চে জনা ১৫ বিজেপি নেতানেত্রী বসেছিলেন। আর মঞ্চের সামনে তার থেকে কম লোকজন বসেছিলেন কম্বল নেওয়ার জন্য, এমনই দাবি করছেন স্থানীয় মানুষজন। কম্বল প্রাপকদের জন্য বিশাল জায়গা জুড়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার পুরোটাই ফাঁকা পড়েছিল। দুইপাশে হাতে গোনা কয়েকজন বসেছিলেন বলে ছবিতেও দেখা গিয়েছে।
বিজেপির এদিনের কর্মসূচির বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে। বিজেপিকে কম্বল ইস্যুতে তুলোধুনা করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “আসানসোলে কম্বল বিতরণের নামে মানুষ মেরেছে বিজেপি। মানুষ ওদের ঘৃণার চোখে দেখছে। এমনিতেই এখানে ওদের জনভিত্তি নেই। বুথে লোক নেই। আর আসানসোলের ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর ওদেল প্রতি মানুষের ঘৃণা আরও বেড়েছে। কম্বল বিলি করেও লোক আনতে পারছে না সভায়।” বিজেপির জেলার মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গরীব মানুষ এই শীতে কম্বল নেবেন তৃণমূল সেটাও নিতে দেয়নি। হুমকি দিয়ে সভায় আসতে দেয়নি। পুলিশ প্রহরায় সভা করতে হয়েছে। তবে তৃণমূলের ভয়ে যাঁরা সভায় এসে কম্বল নিতে পারেননি তাঁরা পরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের বাড়িতে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.