সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ কমাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাতেই চোখ কপালে উঠেছে জনগণের। ওষুধ, সবজি-সহ, গ্যাসের দোকানগুলিতে ভিড় বাড়িয়েছেন মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর জরুরি পরিষেবার আশ্বাসেও কিছুতেই বাড়িতে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। নেই নেই রবে সোচ্চার হয়েছেন তারা। বিস্তর ভিড় দেখা দিয়েছে ওষুধের বিপণিগুলিতেও।
দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে মানুষকে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে। কিন্তু, জনসাধারণের প্রয়োজনে প্রতিটি এলাকায় খোলা থাকবে ওষুধের দোকান, মুদিখানা, সবজি বাজার। লকডাউনে এই জরুরি পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ সকাল থেকেই ধর্মতলা চত্বরে গ্যাসের গোডাউনে গিয়ে ভিড় জমান বেশকিছু মানুষ। তাদের শঙ্কা এই বিপদের সময় পাওয়া যাবে না এলপিজি গ্যাস পরিষেবা। তাই এইবেলাই তারা নিজেদের দায়িত্বে গেরস্থালির সব প্রয়োজনীয়তা পূরণে রাস্তায় নেমে পরেছেন। ফলে গ্যাসের দোকানগুলিতে দেখা দিয়েছে ভিড়। গ্যাস একটি জরুরি পরিষেবা এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এই আপ্তবাক্য বোঝাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন গ্যাসের দোকানের কর্মী-সহ ডিস্ট্রিবিউটররা। একই চিত্র সবজি বাজারগুলিতে। সকাল হতেই বাকি দিনের মত নির্ভয়ে বাজার করতে বেরিয়ে এসেছেন প্রতিটি মানুষ। একহাত দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর অস্ত সবজি বাজার করতে এক একটি দোকানে দেখা গেছে বিস্তর ভিড়। কেউ আবার লকডাউনের সময় বাজারের হালচাল দেখতেও চলে এসেছেন রাস্তায়। তাদের কখনও বুঝিয়ে, কখনও চোখ রাঙিয়ে বাড়ি পাঠাতে হচ্ছে পুলিশকে। কোথাও প্রয়োজনে কান ধরে ওঠবোস করিয়েও শিক্ষা দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। শেখাতে হচ্ছে করোনার সময় কী করণীয়।
অন্যথা দেখা যায়নি ওষুধের দোকান গুলিতেও। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে এখানে নাজেহাল দশা বিক্রেতাদেরও। ওষুধের চাহিদা থাকলেও সেই মতো জোগান না থাকায় বিক্রিতে ভাটা পড়ছে তাদের। প্রথমে মাস্ক ও পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে অমিল হয়ে যাওয়ার পর এবার ওষুধের জোগান কমছে, উলটে বাড়ছে ওষুধের দাম। ফলে বয়স্ক ক্রেতাদের অধিকাংশ বিরক্তি প্রকাশ করে বাড়িমুখো হচ্ছেন। কেউ বা বাজেট অনুযায়ী কমিয়ে কিনছেন ওষুধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.