শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের লোকেরা। সোমবার গভীর রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। যদিও রোগীর পরিবারের লোকেদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনার তদন্তে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
[ শিলিগুড়িতে নিখোঁজ টেবিল টেনিস খেলোয়াড়ের বাবা, দানা বাঁধছে রহস্য]
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা বাহারুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ভরতি হন রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, বহু চেষ্টা করেও তাঁকে দেখভালের জন্য আয়া পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে একা রেখেই চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাতে আয়ার সন্ধানে ফের রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে যান বাহারুল ও তাঁর এক আত্মীয়। কিন্তু, রোগীকে দেখভালের জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর স্ত্রীকে দেখার জন্য আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে যখন হাসপাতালে ঢুকতে যান বাহারুল, তখন বাধা দেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী অরুণ দাস। সাফ জানিয়ে দেন, এত রাতে হাসপাতালে ঢোকা যাবে না। সকালে আসতে হবে। এই নিয়ে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ওই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে রোগীর পরিবারের বচসা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে চলে আসেন অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা। বাহারুলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বাহারুল ইসলামের শ্বশুরও। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত রায়গঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও রোগীর পরিবারের লোকেদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ রেল ঝুপড়িতে বসবাসকারী মহিলার মৃত্যু, জোরাল ‘অনাহার’ জল্পনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.