দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সরকারি হাসপাতাল থেকে ক্যাথিটার লাগানো অবস্থায় স্যালাইনের বোতল হাতে পালাল রোগী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ায়। রোগীর পালানোর ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে স্থানীয় এক ফুটবলারের।
মানিক দে নামে ওই ফুটবলার কোচিং সেন্টারে প্র্যাকটিস সেরে চুঁচুড়া মাঠে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎই বছর কুড়ির এক যুবক হাতে স্যালাইনের বোতল ও ক্যাথিটার লাগানো অবস্থায় তাঁর পাশে এসে শুয়ে পড়েন। চমক যান ওই ফুটবলার। মানিক রীতিমতো হতভম্ব হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন এরকম অবস্থায় সে কোথা থেকে এল, তাঁর নাম কি, কী হয়েছে? এরপরই বিষ্ময়ের পালা। রীতিমতো চমকে দিয়ে স্যালাইনের বোতল হাতে কাঁপতে কাঁপতে ওই যুবক বলেন, তাঁর নাম দেবু হালদার। বাড়ি হুগলির বলাগড়ের সোমরাবাজার। কয়েকদিন আগে তিনি আত্মহত্যার জন্য বিষ খেয়েছিলেন। তারপর পরিবারের লোকজনই তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করে। কিন্তু হাসপাতাল কর্মীদের আচরণে ভীত দেবু পালিয়ে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালের লোকজন তাঁকে মেরে ফেলবে, তাই তিনি হাসপাতাল থেকে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছেন। দেবু মানিককে এও বলেন, “পুলিশকে খবর দিন আমি পুলিশের সঙ্গে চলে যাব। তবু হাসপাতালে আর ফিরব না।” অবস্থা বেগতিক দেখে ওই ফুটবলার চুঁচুড়া থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে দেবুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
[ দুর্ঘটনা এড়াতে গিয়ে বিপত্তি, শিলিগুড়িতে বাস উলটে জখম ২০ ]
চুঁচুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেবু হালদার নামে ওই রোগীকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ফের ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, জেলার সদর হাসপাতাল থেকে একজন রোগী কীভাবে স্যালাইনের বোতল হাতে ক্যাথিটার পরা অবস্থায় সকলের নজর এড়িয়ে পালাল? হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও কর্মীরা কী করছিলেন? সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এই যদি একটা সরকারি সদর হাসপাতালের হাল হয় তবে চিকিতৎসা ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা দিনে দিনে কমবে।
[ অসমে ‘উদ্বাস্তু’ ৪০ লক্ষ মানুষ, বিপন্নদের পাশে বাঙালি সংগঠনগুলি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.