ছবি: প্রতীকী
টিটুন মল্লিক,বাঁকুড়া: তিন দিন আগে ‘নিখোঁজ’ রোগীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। মৃত বছর সাঁইত্রিশের বাপ্পা বাউরি। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাদাকুলি বাউরি পাড়ায়।
মৃতের পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে অর্থাৎ গত বুধবার পেটের ব্যাথার কারণে বাপ্পা বাউরিকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করায় শুক্রবার তাঁর স্ত্রী বাড়ি ফিরে যান। শনিবার ফের স্ত্রী হাসপাতালে স্বামীকে দেখতে যান৷ কিন্তু নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে তাঁকে না পেয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন৷ তা সত্ত্বেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী নিখোঁজের বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
এরপর সোমবার রাতে হাসপাতালের চার তলায় অব্যবহৃত অপারেশান থিয়েটারে ‘চিকিৎসাধীন’ বাপ্পা বাউরির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি বিষ্ণুপুর থানায় জানালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রোগীর এভাবে মৃত্যু ঘিরে উঠছে অনেক প্রশ্ন৷
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মতো জায়গায় নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন একজন রোগী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এছাড়া টানা তিনদিন ধরে রোগীর খোঁজ না মেলার খবরে কেনই বা কর্তৃপক্ষ এত উদাস, সেই প্রশ্নেরও সদুত্তর মিলছে না৷ বাপ্পা বাউরি কি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেখানে ফিরেই আত্মহত্যা করেছেন? নাকি তাঁকে খুন করে কেউ বা কারা ওই অবস্থায় রেখে গেছে? এসব প্রশ্নের জবাবও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.