সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল না। শুধুমাত্র তার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। তবে তা উপেক্ষা করেই দেদার আতসবাজি তৈরি হচ্ছিল। যার ফল মিলল সোমবার রাতে। পাথরপ্রতিমার বণিক পরিবারের পরিচালিত কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে প্রাণ গেল শিশু, মহিলা-সহ ৮ জনের। কারখানাটিতে বাজি তৈরির কোনও লাইসেন্স ছিল না। মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনের পর তা নিশ্চিত করল পুলিশ। আরও জানানো হয়, ২০২২ সালেও বেআইনিভাবে বাজি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে।
সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) বণিকদের বাজি কারখানার বিস্ফোরণে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই। দাউদাউ আগুনে শিশু-সহ একে একে সাতজন প্রাণ হারান। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এত প্রাণহানির পরই একে একে হাজার প্রশ্ন উঠতে থাকে। কারখানায় আসলে কী তৈরি হচ্ছিল? তার কি লাইসেন্স ছিল? পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে সতর্ক থাকলে হয়ত নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন। এমনই সব প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এনিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা গিয়েছে।
স্থানীয় বিধায়ক সমীর জানার দাবি, কারখানাটির লাইসেন্স ছিল। তবে জানা গিয়েছে, সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স ছিল বণিকদের। তা দিয়ে চুপিসাড়ে বাজি ও বিস্ফোরক তৈরি হচ্ছিল। স্থানীয় পুলিশ মঙ্গলবার নিশ্চিত করে দিয়েছে, বাজি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছিল না। তিনবছর আগেও একবার বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এক মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে একাধিকবার লাইসেন্সের আবেদন করলেও জেলা প্রশাসন তা দেয়নি বলে খবর। তবে সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে বাজি তৈরি করার মাশুল তাঁদের দিতে হল পরিবারের সদস্যদের প্রাণ দিয়ে। এখনও পলাতক কারখানার আরেক মালিক তুষার বণিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.