Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রেন কম, কাজে যোগ দিতে অবৈধভাবে প্রবীণ কোটায় সফর, শাস্তির মুখে বহু যাত্রী

অভিযোগ, জরিমানা নিয়েও ট্রেন থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ।

Passengers fined for purchasing ticket in senior citizen quota in Bengali News | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 15, 2020 9:41 pm
  • Updated:September 15, 2020 9:41 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: নামমাত্র ট্রেন চলছে। তার মধ্যে যাত্রা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ায় অনেকেই প্রবীণ সেজে যাত্রা করতে গিয়ে হেনস্থার পাশাপাশি জরিমানা দিচ্ছেন। তাতেও মুক্তি পাচ্ছেন না, জরিমানা নিয়েও ট্রেন থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ।

[আরও পড়ুন: SCO সামিটে ভারতের জমি নিজের বলে দাবি পাকিস্তানের, ওয়াকআউট করল ক্ষুব্ধ দিল্লি]

পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে এই ভুয়ো প্রবীণদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান শুরু করেছে পূর্ব রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ। পরীক্ষা বা শিক্ষাক্ষেত্রে যেতে গিয়ে এমন নির্দয় পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে বহু পড়ুয়াকে। টিকিট পরীক্ষকদের একাংশ এই শাস্তির ব্যবস্থাকে অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের কথায়, এখন কমিশন প্রথা চলছে না। ফলে প্রবীণ নাগরিকদের একই ভাড়া। এই পরিস্থিতিতে কমবয়সী অনেকেই সংরক্ষিত টিকিট না পেয়ে ষাট বছরের উপর বয়স দেখিয়ে প্রবীণ নাগরিক কোটায় যাত্রা করছেন। টিকিট পরীক্ষকদের একাংশ মনে করেছেন, এখন টিকিট ভাড়ায় ছাড় নেই প্রবীণদের। ফলে প্রবীণ সেজে যাত্রা করলেও রেলের ভাড়া কম হচ্ছে না। এক্ষেত্রে শুধু প্রবীণদের যাত্রার কোটার সুযোগ নিচ্ছেন। চরম দুঃসময়ে বাধ্যতামূলক যাত্রায় এই কড়াকড়িকে অমানবিক বলে জানিয়েছেন টিকিট পরীক্ষকরা। হাওড়ার সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন বলেন, “কমবয়সীরা প্রবীণ সেজে যাত্রা করলে আসল প্রবীণরা নিজেদের কোটায় জায়গা পাবেন না। রেল বোর্ডের নির্দেশে চলতি মাসের প্রথম থেকে এই ধরনের অভিযান শুরু হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, প্রবীণ হতে বেশ কয়েক বছর বাকি এমন যাত্রীদের এক শ্রেণীর এজেন্ট ষাটোর্ধ বয়সের টিকিট ধরিয়ে দিচ্ছেন। এটাও অবৈধ। তাই অভিযান চলছে। যদিও এই যাত্রাকে ঝুঁকি পূর্ন বলে রেলের অধিকারিকদের দাবি। দুর্ঘটনা ঘটলে প্রমান করে মুশকিল। ক্ষতিপূরণ পাবেন না।

Advertisement

আনলক ফোরে ট্রেনের চাহিদা এখন এতটাই যে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। স্টাফ লোকালে চড়ে বসছেন। ৮৫০ টাকা জরিমানা বাবদ গুনতে হচ্ছে। টিকিট পরীক্ষকদের কথায়, হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে আসা ট্রেনগুলিতে অ-রেল কর্মীদের তেমন দেখা না গেলেও বিভিন্ন শাখায় চালাচলকারী ট্রেন গুলিতে রেলকর্মী ছাড়া অনেক বহিরাগতরা চড়ছেন। টিকিট পরীক্ষকদের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও নানা সময়ে ধরপাকড় নিয়ে একাধিক রকমের নির্দেশ দিচ্ছেন কর্তারা। এতে অসুবিধায় পড়ছেন টিকিট পরীক্ষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ছাড় পাবেন না। এই নির্দেশের পর পুলিশ কর্মীরা ঝামেলা করায় তাদের অলিখিত ভাবে ছাড় দেওয়া শুরু হয়। এরপর স্বাস্থ্য কর্মীদের চাপ বাড়ে। নানা সময়ে ধরার পর আধিকারিকদের কাছে ফোন আসে। তাঁদের আবেদনে ধৃতকে ছাড়তে হয়। নির্ধারিত কোনও নীতি না থাকাও অসুবিধায় পড়ছে টিকিট পরীক্ষকেরা। তাঁদের কথায়, অ-রেল কর্মী ধরা পড়লেও শাস্তি। তবে কেউ ধরা পরেও ছাড়া পাবেন, কেউ ৮৫০ টাকা জরিমানা দেবেন। এটা দ্বিচারিতা। অবিলম্বে একরকম সিদ্ধান্তে আসার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনার বলি মোট ১,৫০০, সংক্রমিতের নিরিখে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের এই ৫ জেলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement