Advertisement
Advertisement
লোকসভা নির্বাচন, প্রবীণ ভোটার, দুর্গাপুর

১০৮ বছরেও গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দেওয়ার উন্মাদনা, নজরে প্রবীণতম ভোটার

হারাধন সাহাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা করছে জেলা প্রশাসন।

Paschim Bardhaman's oldest voter Haradhan Saha is rady to vote again
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 2, 2019 5:17 pm
  • Updated:April 17, 2019 6:06 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর:  বয়সের ছাপ চেহারায় স্পষ্ট। পাক ধরেছে চুলে। সর্বক্ষণের সঙ্গী লাঠি। তবুও বয়সের বাধা উপেক্ষা করেই আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে প্রস্তুত পশ্চিম বর্ধমানের প্রবীণতম নাগরিক হারাধন সাহা। ১০০-এর গণ্ডি কয়েকবছর আগেই পেরিয়েছেন তিনি। এবার  সকলকে ভোটপ্রদানে উৎসাহী করতে প্রবীণতম ব্যক্তিকে নিয়ে বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।

[আরও পড়ুন: মতুয়া ঠাকুরবাড়ির পূণ্যস্নানেও মতানৈক্য, স্পষ্ট রাজনৈতিক লড়াই]

Advertisement

১৯১১ সালে মলানদিঘিতে জন্মেছিলেন হারাধন সাহা। স্মৃতি হাতড়ে সেই সময়ের কাহিনী, জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েই আনন্দ পান হারাধন বাবু। ১০৮এও বাকশক্তি অটুট৷ তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ শাসনকালে ঠিকাদারি করতেন তিনি। ভোট প্রসঙ্গে হারাধনবাবুর বক্তব্য,  ‘কুড়ি বছর বয়সে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের কালীপুরে প্রথম ভোট দিই। সেই থেকে এখনও চলছে। প্রতিবারই ভোট দিয়েছি। একবারও বাদ যায়নি। যখন প্রথম ভোট দিই, তখন এত গুরুত্বও ছিল না। আর এতো দলও ছিল না।’ 

সেইসঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হতাশাও প্রকাশ করেন হারাধনবাবু। তাঁর ছেলে শিবনাথ সাহা বরাবরই রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলেন। কাঁকসা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন শিবনাথবাবু। পরে দলবদল করে ২০০২ সালে বিজেপির হয়েও নির্বাচন লড়েছিলেন তিনি। বছর তিনেক আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের।

[আরও পড়ুন: বঙ্গে ভোট উৎসব, রাজনৈতিক দলের প্রচারে বাংলার বানানের দফারফা]

দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এবারও ভোট দিতে প্রস্তুত হারাধনবাবু। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রবীণতম ভোটার তিনিই। তবে শতবর্ষ পেরনো মোট ১৯ জন ভোটার আছেন এই জেলায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্গাপুর (পূর্ব) ও দুর্গাপুর (পশ্চিম) বিধানসভা কেন্দ্রে ২ ও ৪ জন একশো উর্ধ্ব ভোটার রয়েছেন। এছাড়াও, রানিগঞ্জে ৪ জন, আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভায় যথাক্রমে ৪ ও ২ জন, কুলটি বিধানসভা এবং বারাবনী বিধানসভায় এই সংখ্যা যথাক্রমে ২ এবং ১ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৬ জন।

[আরও পড়ুন: ১০৮ বছরেও গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দেওয়ার উন্মাদনা, নজরে প্রবীণতম ভোটার]

জানা গিয়েছে, বয়সের বাধা কাটিয়ে দেশের প্রতি এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা রাখার জন্য হারাধনবাবুকে সম্মানিত করার পরিকল্পনা করছে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের দায়িত্বে থাকা দুর্গাপুর(পূর্ব) কেন্দ্রের সহকারী রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ সামন্ত জানিয়েছেন, “তাঁকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের উৎসাহ বাড়াতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” প্রত্যেক নাগরিক যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রদান করেন, তাতে উৎসাহিত করতেই এই পরিকল্পনা বলে জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে খবর৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement