অর্ণব দাস, বারাসত: পুকুরে ভাসমান বস্তা থেকে উদ্ধার হল মানব দেহাংশ। মোট আট টুকরো দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। রবিবার বারাসতের হৃদয়পুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়পুর ১ নম্বর বেঙ্গল কেমিক্যাল এলাকাটি বেশ শান্ত, নিৰ্জন। সেখানেই একটি বিরাট পুকুর রয়েছে। শনিবার রাতে পাড়ারই কয়েকজন যুবক সেই পুকুরের পাড়ে বসেছিল। আনুমানিক পৌনে বারোটা নাগাদ তারা লক্ষ্য করে পুকুরে পারের একটি বস্তা দেখে চিৎকার করছে একদল রাস্তার কুকুর। তখনই সেখানে গিয়ে বস্তাবন্দি দেহের অংশ দেখতে পান তারা। তৎক্ষণাৎ বারাসত থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে বাস্তটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরেরদিন রবিবার সকালেও একইভাবে আরও দুটি বস্তা পাড়ে ভেসে আসলে এলাকাবাসী পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয়। আবারও থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দুটি বস্তা থেকে দেহাংশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “পুকুরটিতে মাছ চাষ হয়। তাই বস্তায় খাওয়ার ফেলা হয়। বেশ কদিন ধরেই সকলে বস্তাগুলি দেখেছিলাম, সকলেই ভেবেছিল হয়ত মাছের খাওয়ার। কিন্তু এই ঘটনা কেউ ভাবতেই পারছি না। খুবই আতঙ্কে আছি। পাড়ার কমিটির সকলে আলোচনা করে পুকুর সংলগ্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা ভাবছি।” বস্তা থেকে পচা-গলা দেহাংশ উদ্ধারের পর সেগুলি বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশটি পুরুষের। দুটি হাত, দুটি পা দু ভাগ, পেটের উপরের অংশ ও নিচের অংশ মিলিয়ে দেহের মোট আটটি টুকরো উদ্ধার হয়েছে। তবে মাথা উদ্ধার হয়নি।
একই পুকুর থেকে দেহাংশ উদ্ধার হওয়ায় দেহটি একজনেরই বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তাই নৃশংস খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া জানিয়েছেন, দেহাংশ পচনের কারণে বয়স অনুমান করা সম্ভব হয়নি। মাথা উদ্ধার না হওয়ায় পরিচয় জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা দেহাংশের নিরীক্ষণ করছে। পরিচয় জানতে পুলিশ জেলার অন্তর্গত সমস্ত থানায় নিখোঁজ ডায়েরি তথ্য চাওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.